Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

খরায় ফেটে চৌচির আমন ধানের খেত

খরায় ফেটে চৌচির আমন ধানের খেত

যশোরের ঝিকরগাছায় খরায় পুড়ছে আমন ধানের খেত। এবার বর্ষা মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ায় আবাদি জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। এতে করে আমন ধানের আবাদ দিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।

বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিতে কৃষকেরা আমনের চাষ করে থাকেন। কিন্তু এবারের চিত্র উল্টো। এ বছর আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে বৃষ্টির অভাবে পাট, আউশ ও আমন ধানের আবাদ করতে বেগ পেতে হয় কৃষকের। অন্যান্য বছর পরবর্তী সময়েও মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হয়ে থাকে। কিন্তু এবার বর্ষায় যেমন বৃষ্টি কম হয়েছে। তেমনি বর্ষা শেষেও আর বৃষ্টি হয়নি বললেই চলে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের হিসাবে, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমন রোপণ করা হয়েছে সাড়ে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে। গতবার সাড়ে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়।

গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বল্লা, বারবাকপুর, বেজিয়াতলা, বোধখানা, বর্ণিসহ অধিকাংশ গ্রামের মাঠে আমন ধানের খেত পানির অভাবে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। কৃষকেরা জানান, বোরো-ইরি ধান সেচের পানিতে করা গেলেও আমন ধানে বৃষ্টি না হলে ফলন ভালো হয় না। আমন চাষ বৃষ্টিনির্ভর হওয়ায় এলাকার কৃষকেরা বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছেন।

এবার বর্ষায় যেমন বৃষ্টি কম হয়েছে, তেমনি বর্ষা মৌসুম শেষেও আর বৃষ্টির দেখা নেই বললেই চলে।
উপজেলায় এবার ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমন রোপণ করা হয়েছে সাড়ে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে।

উপজেলার বারবাকপুর গ্রামের কৃষক আজিজুর রহমান বলেন, ‘চার বিঘা জমিতে ব্রি ৫১ ও লাল স্বর্ণ জাতের আমন ধানের আবাদ করেছি। তবে বৃষ্টি না হওয়ায় সেচের পানিতে জমি প্রস্তুত ও রোপণ করেছি। তাই আবাদ খরচ অনেক বেশি পড়ছে। তারপরও আবাদি জমি পানির অভাবে শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত কী হবে বলা যাচ্ছে না।’

একই গ্রামের বাদল হোসেন বলেন, ‘আমাদের মতো বর্গাচাষিদের এবার আমন ধান চাষে লাভ হবে না। সার, ডিজেল, বীজের দাম বেশি, তারপর সেচ দিয়ে ধান লাগিয়েছি। এবার যদি সেচ দিয়ে গাছ বাঁচাতে হয়, তাহলে আমন ধানের আবাদ করে আমাদের মতো বর্গাচাষির লোকসান গুনতে হবে।’

উপজেলার বল্লা গ্রামের বাসিন্দা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মৌসুম শুরু হলে প্রথমেই দুই বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছি। তখন বৃষ্টিপাত না থাকায় সেচ দিয়ে তা রোপণ করতে হয়েছে। এখন বর্ষা মৌসুম শেষ হলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। তাই দুই বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করতে এযাবৎ প্রায় ১৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখনো অনেক খরচ বাকি। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এ বছর আমন ধান চাষে লাভের সম্ভাবনা কম।’

বোধখানা গ্রামের কৃষক আলী হোসেন বলেন, অন্যান্য বছর এই সময়েও কিছু বৃষ্টি হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর বর্ষা মৌসুমেও তেমন বৃষ্টি হয়নি। পরবর্তী সময়েও আর বৃষ্টির দেখা নেই বললেই চলে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, কৃষকেরা এখনো বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছেন। আমন ধানের আবাদ করতে বৃষ্টির প্রয়োজন। কারণ, বৃষ্টির পানিতে ইউরিয়া সারের উপাদান রয়েছে। এতে আমনের আবাদ ভালো হয়। তবে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হলে সম্পূরক সেচের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, গত ৪০ বছরের মধ্যে এবারের মৌসুমে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।

সে কারণে কৃষিতে এবার ফলন কম হতে পারে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ