কক্সবাজারের রামুর ১১ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ সব ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
রামুর ১১ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এবার চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে উঠছিলেন প্রার্থীরা। যাঁরা দলীয় মনোনয়ন পাননি, তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
উপজেলার প্রাণকেন্দ্র ফঁতেখারকুল ইউপিতে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন নুরুল হক চৌধুরী। বর্তমান চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপের কমতি রাখেননি। মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সিরাজুল ইসলাম ভুট্টো। একই ইউপিতে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় আবুল বশর বাবু মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও পরে তিনি প্রত্যাহার করেন।
ফঁতেখারকুলের মতোই অন্য দশ ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছে দলটির বিভিন্ন পদের নেতারা।
এর মধ্যে রামু খুনিয়াপালং ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আটজন, দক্ষিণ মিঠাছড়িতে নয়জন, ঈদগড়ে চারজন, চাকমারকুলে আটজন, গর্জনিয়ায় সাতজন, কচ্ছপিয়ায় সাতজন, রশিদনগরে তিনজন, জোয়ারিয়ানালায় ছয়জন, কাউয়ারখোপ সাতজন, রাজারকুলে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যাঁরা নির্বাচন করছেন তাঁদের বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
কেন্দ্র থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে কঠোর বিধিনিষেধ থাকলেও তাঁরা মানছেন না বলে অভিযোগ আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের।
উল্লেখ্য, ১১ই নভেম্বর রামুতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।