ফেনীতে গত শনিবার হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল রোববার ফেনী সদর থানায় মামলা দুটি করা হয়।
তা ছাড়া ওই হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ লাবিব আহমেদ নামের এক কলেজছাত্রকে আটক করেছে র্যাব-৭।
গতকাল রোববার দুপুরে ফেনীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান, র্যাব ৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ, পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার নুরুন্নবী, মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, শহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোশারফ হোসেন প্রমুখ হামলা-ভাঙচুর এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে ফেনীর কেন্দ্রীয় জয় কালী মন্দিরে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় উপস্থিত দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা গত শনিবারের ঘটনার বর্ণনা দেন। পরে জেলা প্রশাসক বলেন, জয় কালীমন্দির, রাজ কালীমন্দির, মহাপ্রভুর আশ্রম এবং ফেনী বাজারের ১৫টি দোকান ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ধর্মীয় বা রাজনৈতিক নয়। এটা দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে।
গত শনিবার ফেনীতে পূজা উদ্যাপন পরিষদের প্রতিবাদ মিছিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ফেনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), সাংবাদিকসহ ৩০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে শতাধিক শটগানের গুলি, রাবার বুলেটসহ বেশ কিছু ফাঁকা গুলি ছুড়তে হয়েছে। বিকেল ৫টার পর থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলে।
জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি ও ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাঁরা প্রতিবাদ মিছিল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে কর্মসূচি বাতিল করা হয়। তারপরও কিছু লোক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।
ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী তখন জানিয়েছিলেন, ইটপাটকেলের আঘাতে ফেনী মডেল থানার ওসিসহ অন্তত ১৫-১৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছু ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত হলেও শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।