বান্দরবানের লামার আজিজনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা ও মারধর করে আহত করার অভিযোগ মামলা করেছেন এক নারী। গতকাল বৃহস্পতিবার বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা করেন ওই নারী। আদালত পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) কক্সবাজারকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পেশকার (ভারপ্রাপ্ত) বাবুমং মার্মা ঘটনার মামলার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আজিজনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন, মোস্তাক আহমদ ও সাইফুল ইলামের নামে মামলা করা হয়েছে। তাঁদের বাড়ি উপজেলার আজিজনগর চেয়ারম্যানপাড়ায়।
আদালতে আর্জি সূত্রে জানা গেছে, স্বামীর জায়গা জমির বিরোধ নিয়ে মামলার বাদী গত বছরের ২ অক্টোবর বিকেলে আজিজনগর ইউপিতে যান। এ সময় মামলার আসামি মোস্তাক ও সাইফুল মামলার বাদীকে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন দ্রুত চলে আসবেন। পরে চেয়ারম্যান আসার পর ব্যক্তিগত কক্ষে ডেকে পাঠান ওই নারীকে। সেখানে কথা বলার এক পর্যায় ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ও ছবি তুলে রাখেন। এর একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর চিৎকারের পাশের কক্ষে থাকা তাঁর স্বামী ও ভাসুর চেয়ারম্যানের রুমে ঢুকতে চাইলে তাঁদের ইউপি কার্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ভুক্তভোগীর বাম হাত ভেঙ্গে দেন। পরে স্বামী ও ভাসুর ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা করান।
মামলাবাদী নারী ও তাঁর স্বামী বলেন, ভুক্তভোগী সুস্থ্য হওয়ার পর লামা থানায় মামলা করতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বিভিন্নভাবে সময় ক্ষেপন করেন এবং হাসপাতালের কাগজপত্র আটক করে রাখেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ওই সব কাগজপত্র ফেরত দেন তিনি।
আজিজনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমার বিরোদ্ধে যে অভিযোগে মামলা করা হয়েছে তা শতভাগ মিথ্যা। ওই নামে কোনো মেয়েকে আমি চিনি না।’
লামা থামার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ওই নামে নামে কোনো অভিযোগকারী কোনো সময় থানায় অভিযোগ করতে আসেননি। মামলা না নিয়ে কাগজপত্র আটক করে রাখার অভিযোগটি সত্য নয়।’