পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর পাংশায় নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে সড়ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের শলুয়া গ্রামের মালঠিপাড়া থেকে বড়খোলা পর্যন্ত দুই কিলোমিটারের বেশি সড়কের নির্মাণকাজ নিয়ে এই অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এ ছাড়া সড়কটি নির্মাণে বিভিন্ন অনিয়ম করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সড়কটির নির্মাণকাজ করছে ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়রা জানান, ১৫-২০ দিন আগে সড়কটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। শুরু থেকেই কাজ চলমান অবস্থায় বেশির ভাগ সময়ই তদারকির জন্য কোনো কর্মকর্তা থাকেন না। সম্প্রতি খুবই নিম্নমানের ইটের খোয়া ও ইটের গুঁড়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা না বলতে হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় ইমান আলী মোল্লা বলেন, যে খোয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে, তা ভালো নয়। এলাকার লোকজন অনেকবার বলেছেন, তারা (ঠিকাদার) বলে, এর থেকে ভালো খোয়া দেশে নেই।
মো. রাব্বি হাসান বলেন, এখন বালু আর খোয়া একত্র করে দেওয়া হচ্ছে। কোনোমতে খোয়া ছিটিয়ে দিচ্ছে। প্রায় ৯০ ভাগই বালু দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় আতর আলী বলেন, কাজ শুরুর সময় বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে রাস্তা করছিল। তাঁরা এই কথা বলেছিলেন বলে এখনো ঠিকাদার তাঁদের ওপর খেপে আছেন।
সড়ক নির্মাণকাজে নিয়োজিত মো. তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, তাঁদের যেভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তাঁরা সেভাবেই কাজ করছেন। কোনো অনিয়ম করেননি। ইটের খোয়ার মান নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, দুই গাড়ি ইটের খোয়া একটু নিম্নমানের হয়েছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী সাচ্ছুর মোবাইল ফোনে গতকাল রাত ৯টার দিকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি।
উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী সাইফুর রহমান সড়কটির নির্মাণকাজের তদারকি কর্মকর্তা বলে জানা গেছে। তবে গতকাল শনিবার সরেজমিনে তাঁকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘আমি আজ সাইডে নেই। খোয়া ও কাজের মান আগামীকাল দেখব। আমি সাইডে না থাকলেও আমাদের অফিসের শাহিন নামের একজন স্টাফ কাজটি দেখভাল করার জন্য রয়েছেন।’
উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হাসান বলেন, তদারকি কর্মকর্তা হয়তো অন্য কোনো সাইটে আছেন। তবে বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।