মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে আলু রোপণের পরিবর্তে অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এর অংশ হিসেবে চিনাবাদাম চাষে কৃষকদের সহায়তা করছে অধিদপ্তর। দুই বছর ধরে উন্নত মানের চিনাবাদামের বীজ ও সার দেওয়া হচ্ছে। সেই বীজগুলো বালু ভরাট করা জমিগুলোতে রোপণ করছেন কৃষকেরা। ভালো ফলন পাচ্ছেন তাঁরা।
গতবার লাভবান হওয়ায় এবারও চিনাবাদাম চাষ করেছেন অনেক কৃষক, বিশেষ করে আলুর জমিতে বাদাম চাষ করতে পারলে বেশি লাভ হবে বলে জানান তাঁরা।
গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের উত্তর গোবরদী গ্রামের কৃষক মনির হোসেন খোকন বালু ভরাট করা ১৭ শতাংশ জমিতে এই চিনাবাদামের চাষ করেছেন। আর কিছুদিনের মধ্যেই এই বাদাম তোলা হবে। প্রতিদিন কৃষক বাদামগাছগুলো পরিচর্যা করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষি প্রণোদনা ও কৃষি পুনর্বাসনের আওতায় প্রায় ৩০০ কৃষকের মাঝে চিনাবাদামের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এবার ২৭ হেক্টর জমিতে চিনাবাদাম চাষ করা হয়েছে। গতবার ৮ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়। বালু ভরাট জমি ও পতিত বালু জমির মধ্যে চিনাবাদাম রোপণ করা হয়।
চাষি মনির হোসেন খোকন বলেন, ‘গত বছর প্রথমবারের মতো চিনাবাদাম চাষ করেছিলাম। খুব ভালো ফলন হয়েছিল, লাভও হয়েছে বেশ। তাই এবারও চিনাবাদাম চাষ করেছি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ভালো ফলনের আশা করছি।’
বয়রাগাদী ইউপির সদস্য ও কৃষক মো. ইয়াসিন বলেন, গত বছর খোকন ভাই বাদাম চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। দ্বিতীয়বারের মতো এবারও বাদাম চাষ করেছেন। ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁকে দেখে আমিও বাদাম চাষ করার পরিকল্পনা করেছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার বলেন, কৃষি প্রণোদনা ও কৃষি পুনর্বাসনের আওতায় ৩০০ কৃষকের মাঝে এ চিনাবাদাম বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কৃষক মনির হোসেন খোকন ঠিকমতো পরিচর্যার কারণে ভালো ফলনও পাবেন। তাঁকে দেখে অন্য কৃষকেরাও উদ্বুদ্ধ হবেন।