পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে ১২ ইউপির ১১টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জয়ের পথে।
এ ছাড়া চার ইউপিতে বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে ৫ জন। ওই ১১ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের ১১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ প্রতিটি ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১২ ইউপিতে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদে মোট ৫৩০টি মনোনয়নপত্র জমা হয়েছিল। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৭টি, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩২টি এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৮১টি। গত রোববার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। এদিন চেয়ারম্যান পদে ওই ১১ ইউপিতে আওয়ামী লীগের ছাড়া বাকি প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এর জন্য চেয়ারম্যান পদে ১১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী এখন জয়ের পথে। আর সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে একজন ও সাধারণ সদস্য পদে চারজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে জয়ী হচ্ছেন তাঁরা হলেন সোনামুখী ইউপিতে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান আলী খান, চালিতাডাঙ্গায় আতিকুর রহমান, গান্ধাইলে গোলাম হোসেন, শুভগাছায় গিয়াস উদ্দিন, কাজীপুরে কামরুজ্জামান, মাইজবাড়ীতে শওকত হোসেন, খাসরাজবাড়ীতে জহুরুল ইসলাম, চরগিরিশে এস এম জিয়াউল হক, নাটুয়ারপাড়ায় আব্দুল মান্নান, তেকানীতে হারুনার রশিদ ও নিশ্চিন্তপুরে খাইরুল ইসলাম। মনসুরনগর ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন খলিল মুন্সি।
আর সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন চালিতাডাঙ্গা ইউপিতে ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মঞ্জুরি খাতুন। সাধারণ সদস্য পদে চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এরশাদ হোসেন, মাইজবাড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুস ছালাম, খাসরাজবাড়ি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বকুল মিয়া ও তেকানী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আজাহার আলী।
