বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পানের ভালো ফলনেও হাসি নেই প্রান্তিক চাষিদের মুখে। ভরা মৌসুমেও পানের দাম না পেয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তাঁরা। অথচ গ্রাম থেকে যাওয়া এ পান ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে তিন হাজার পাঁচ শ পান চাষি রয়েছেন। শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি, অতিরিক্ত দামে খৈল ও বাঁশের শলা কেনাসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে কম দামে পান বিক্রি করতে হচ্ছে।
গৈলা ইউনিয়নের দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামের পান চাষি কাদের হাওলাদার, মিলন রায় ও গৈলা গ্রামের রাকিব আকন জানান, এ বছর পান বিক্রি করে লাভ তো দূরের কথা, পান চাষের খরচ ওঠে কি না তা নিয়েই সন্দেহ আছে। শ্রমিকদের মজুরি দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।
কালুপাড়া গ্রামের পান চাষি সুবাস মন্ডল জানান, কিছুদিন আগে ঝড়ে তার পানের বরজের বেশ কিছু বেড়া ভেঙে পড়েছে। সেই পান বরজের সংস্কার করা তারপর আবার পানের দাম কম থাকায় ঝামেলায় পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের সব সময় চেষ্টা থাকে যাতে পানের ফলনে কোনো সমস্যা না হয়।