সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের পাটকেলঘাটায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সেজে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে ৫ জনকে আটক করেছে র্যাব। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পাটকেলঘাটার হারুন-অর-রশিদ কলেজের সামনে থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে খেলনা পিস্তল, ওয়াকি-টকি ও হাতকড়াসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন যশোরের মোস্তফা বিশ্বাস (৪৬), সুজন শীল (২৯), শরীফুল ইসলাম (৪২), মোশারফ হোসেন (৪০) ও মাহবুবুর রহমান (২৭)। তদন্তের স্বার্থে তাঁদের পূর্ণ পরিচয় প্রকাশ করেনি র্যাব।
র্যাব সাতক্ষীরা ক্যাম্পের স্কোয়াড্রন লিডার ইশতিয়াক আহমেদ জানান, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে সড়ক-মহাসড়কে ছিনতাই করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় তাঁরা শুক্রবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের পাটকেলঘাটা হারুন-অর-রশিদ কলেজের পাশে অবস্থান নেয়।
গোপন সংবাদে বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে র্যাব অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করে। এ সময় জব্দ করা হয় ১টি প্রাইভেটকার, ১টি মোটরসাইকেল, ১টি খেলনা পিস্তল, ২টি পিস্তলের কভার, ১টি ওয়াকি-টকি সেট, ২টি ডিবি পুলিশের কটি, ২টি হাতকড়া, ২টি পুলিশ ফিল্ড ক্যাপ, ১টি পুলিশ বেল্ট, ১টি ভুয়া আইডি কার্ড ও ১টি পিস্তল বাধার চেইন।
ইশতিয়াক আহমেদ আরও জানান, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় এই চক্রের রয়েছে বিশাল নেটওয়ার্ক। ডিবি যেসব পোশাক ও সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে, আটককৃতরাও একই ধরনের পোশাক ও সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে। যা দেখে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হন এবং অসহায় হয়ে পড়েন। আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে পাটকেলঘাটা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
এদিকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে টাকা ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্ম হচ্ছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি বাই-পাস সড়কে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের মোনতেছ আলীর ছেলে আবুল জলিল নামের এক হাঁস-মুরগি ব্যবসায়ীর ৩৪ হাজার টাকা ছিনতাই হয়।
একর পর এক ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তৎপরতা বৃদ্ধি করে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, আটক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সাতক্ষীরার বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাই কাজে জড়িত থাকতে পারে।