কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা করোনার নতুন ‘হটস্পটে’ পরিণত হয়েছে। এই এলাকায় গত পাঁচ দিনে ১০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিদেশি ১০৪ জন।
মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আক্রান্তদের মধ্যে ভারতের ৭৫ জন, ফিলিপাইনের ১৬ জন, জাপানের ৩ জন এবং বাংলাদেশি ৩ জন।’
মাহফুজুল হক জানান, আক্রান্ত ব্যক্তিরা আইসোলেশনে রয়েছেন। তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় করোনার চিকিৎসা, আইসোলেশন সেন্টার, পরীক্ষার ব্যবস্থা ও চিকিৎসক রয়েছেন।
এদিকে সংক্রমণের কারণ অনুসন্ধানে জেলা সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল গত রোববার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে সংক্রমণরোধে প্রকল্প এলাকার একটি ইউনিটের নির্মাণকাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
চিকিৎসক দলের একজন সদস্য বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের ওমিক্রণের লক্ষণ আছে কি না, তা পরীক্ষা করতে আইডিসিআরে নমুনা পাঠানো হয়েছে।
সিভিল সার্জন বলেন, মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের ১৫টি ইউনিটে প্রায় ১০ হাজার দেশি-বিদেশি লোক কাজ করেন। আক্রান্ত ব্যক্তিরা একটি ইউনিটে কাজ করেন। ফলে তাঁদের সংস্পর্শে আসাদের নমুনা পরীক্ষা করানোর জন্য বলা হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, আক্রান্তদের বেশির ভাগই ভারতের নাগরিক। তাঁদের অনেকেই ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন।
এদিকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল ৪২১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ জনের। তাঁদের মধ্যে মহেশখালীর দুজন। এ ছাড়া সদর ও উখিয়ায় একজন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এর আগের দিন ৫১৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত ছিলেন ৬৮ জন। তাঁদের মধ্যে ৩৮ জন মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকার।
গত শনিবার ৩৪২ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৪০ জনের। তাঁদের মধ্যে ৩৫ জন মহেশখালীর।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অনুপম বড়ুয়া জানান, আক্রান্ত এলাকায় কঠোরভাবে বিধিনিষেধ মেনে চলতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।