পড়াশোনা শেষ করে বিসিএস বা করপোরেট চাকরি–সাধারণত এমনটাই স্বপ্ন থাকে সবার। কিন্তু কেউ কেউ এই সাধারণ বৃত্তের বাইরে গিয়েও হয়ে ওঠেন অসাধারণ। তেমনই একজন হরিরামপুর উপজেলার বলড়া ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা তানভীর আহমেদ (আসাদ)।
প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) শেষ করার পর চাকরির পেছনে না ছুটে নিজ বাড়িতেই গড়ে তুলেছেন বিশ্বমানের ফুল ও ফলের বাগান। ২০০ টাকা বিনিয়োগ করে বাগান শুরু করলেও এখন ৪০ লাখ টাকার মূলধন দাঁড়িয়েছে।
উপজেলার বলড়া ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের বাড়ির পাশে ২৪ শতাংশ জমিতে তানভীর গড়ে তুলেছেন বিশ্বমানের ফুল ও ফলের বাগান। সম্প্রতি আরও দুটি বাগান করেছেন তিনি। জানা যায়, বাগানে রয়েছে আমেরিকা, চায়না, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতসহ বিশ্বের ২৫টি দেশের ৫ শতাধিক পদ্ম, জলজ ফুল ও ফল গাছের সমারোহ।
তিনটি বাগানে রয়েছে এঞ্জেল ট্রাম্পেট, ক্যানাঙ্গা, গ্লিরিসিডিয়া, কানাইডিংগা, ডম্বিয়া, বিভিন্ন রঙের দোলনচাঁপা, আফ্রিকান বাওবাব, হলুদ শিমুল, হাজার পাপড়ির পদ্ম (Thousands Petals) স্থল পদ্ম, জল গোলাপ, নীলমণি, শ্বেতমণি, পারুলসহ ৫০০ প্রজাতির দুর্লভ গাছ। বাগানমালিক তানভীর আহমেদ বলেন, গাছের প্রতি ভালোবাসা থেকেই বাগান করা। আমার বাগানে এমন কিছু গাছ রয়েছে যা আমার হাত ধরেই বাংলাদেশে এসেছে। কিছু গাছের নামকরণও আমার নিজের করা। যেমন–জলগোলাপ। গাছটি জলে হয়। ফুলটা দেখতে সাদা গোলাপের মতো।
‘জলগোলাপ’ নামেই ফুলটি দেশব্যাপী পরিচিত। সম্প্রতি তানভীরের বাগান পরিদর্শন করেছেন মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ মমতাজ বেগম এমপি, সাংবাদিক মুন্নী সাহা, মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী। হরিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গাফফার বলেন, হরিরামপুরে শুধু ফুলের নার্সারি নেই বললেই চলে। এমন নার্সারি ব্যতিক্রম। আমি নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছি। যেকোনো প্রয়োজনে আমরা তাঁকে সহযোগিতা করব।