Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

টিকা নিতে আগ্রহ কম

জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ

টিকা নিতে আগ্রহ কম

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে সুনামগঞ্জে শুরু হয় টিকাদান কর্মসূচি। সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, টিকা নেওয়ার সংখ্যানুপাতে দেশের ১০ জেলা পিছিয়ে আছে। এগুলোর মধ্যে হাওর-অধ্যুষিত এ জেলাও রয়েছে। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে, টিকা নিতে মানুষের মধ্যে আগ্রহ কম।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রমতে, জেলার ৩৭ শতাংশ মানুষ করোনার টিকা নিয়েছেন। এ পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ১৯ লাখ ২০ হাজার মানুষ। তাঁদের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১১ লাখ ৮০ হাজার, দ্বিতীয় ৭ লাখ ৪০ হাজার এবং বুষ্টার ডোজ নিয়েছেন ৩ হাজার জন। প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৪০ শতাংশ ও দ্বিতীয় ডোজের ২৮ শতাংশ।

করোনার টিকা নেওয়ায় এ জেলায় পিছিয়ে থাকার কারণ হিসেবে সুধীজনেরা মনে করছেন প্রচার ও সচেতনতার অভাব। তাঁদের মতে, করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতায় প্রচার বাড়াতে হবে।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন কুমার বর্মন বলেন, করোনা কী, সে সম্পর্কে এখনো হাওরাঞ্চলের মানুষ ভালোভাবে জানে না। এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা থাকা দরকার। স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা ও টিকা নিতে মানুষের মধ্যে আগ্রহ বাড়বে।

এদিকে প্রত্যন্ত হাওর জনপদের যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না থাকায় অনেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা নিতে আগ্রহী হচ্ছেন না। বর্তমান শুষ্ক মৌসুমে সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে অধিক সময় লাগে। ফলে দূরদূরান্ত থেকে টিকা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসতে চায় না মানুষ।

মধ্যনগর উপজেলার জারাকুনা গ্রামের জিল্লুর আলম বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলে যোগাযোগব্যবস্থা খুবই নাজুক। করোনার টিকা নিতে হলে অনেক দূরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণটিকা কার্যক্রমেও দেখেছি, মানুষ তেমন টিকা নেয়নি। টিকা কার্যক্রম আরও সহজলভ্য করা হলে মোটামুটি টিকা নিশ্চিত করা যেত।’

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সুনামগঞ্জের সহসভাপতি খলিল রাহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রশাসন কিংবা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে আরও প্রচার চালানো দরকার। আগের তুলনায় বর্তমানে প্রচার কমেছে।

তাঁর মতে, টিকা কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার জন্য অবশ্যই স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে হাওরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। আর টিকা কার্যক্রম সহজ করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।

করোনার টিকা নিতে এখনো পিছিয়ে কেন জানতে চাওয়া হলে সিভিল সার্জন মো. শামস উদ্দিন বলেন, ‘হাওর এলাকার মানুষের মধ্যে সচেতনতা কম। তবে আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি করোনার টিকা শতভাগ প্রয়োগ করার জন্য।’

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সব সময় করোনার টিকা নেওয়ার বিষয়ে নানা প্রচার চালানো হচ্ছে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ