Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কবলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেনারেটরও নষ্ট

হারুনুর রশিদ, রায়পুরা

বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কবলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেনারেটরও নষ্ট

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘন ঘন বিদ্যুৎ-বিভ্রাটে অতিষ্ঠ সেবাগ্রহীতারা। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে একটি জেনারেটর থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট সেটি।

বিদ্যুৎ চলে গেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের চিকিৎসাধীন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে আসা রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আসা রোগীদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। এ কারণে এ অবস্থা থেকে মুক্তি চান উপজেলাবাসী। তাঁরা অবিলম্বে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে দেখা গেছে, বহির্বিভাগে সাধারণ রোগীদের দীর্ঘ সারি। ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে আসা এক্স-রে ও প্যাথলজি বিভাগের সামনে সেবা নিতে আসা রোগীদের অপেক্ষার প্রহর যেন আর ফুরায় না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেবাগ্রহীতারা। 
সেবা নিতে আসা বৃদ্ধা জহুরা বেগম, নজরুল ইসলাম, নয়ন মিয়া, কিশোর সায়িমসহ অনেকে জানান, পরীক্ষা করতে এসে বিদ্যুৎ না থাকায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এমনটায় বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কথা জানান তাঁরা।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীরা জানান, বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরে রাতের বেলায় বাতি-ফ্যান বন্ধ থাকে। ওয়ার্ডে থাকা অনেক রোগী অন্ধকারে অস্বস্তি ও গরমে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। জেনারেটর নষ্ট থাকায় সময়মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা নেবুলাইজ করাতে পারছেন না অনেক রোগী। এতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষাসহ ভোগান্তিতে পড়েছেন শ্বাসকষ্টসহ নানা অসুখে চিকিৎসাধীন রোগীরা। ফলে সেবাগ্রহীতাদের দুর্ভোগ চরমে। এ জন্য দ্রুত সেবার মান বৃদ্ধিতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তাঁরা।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৭ লাখের অধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র প্রতিষ্ঠান এটি। দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্যাথলজি বিভাগে দৈনিক গড়ে ৬০-৭০ জন, এক্স-রে বিভাগে ১৩-১৫ জন সেবা নিচ্ছেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে এখানকার জেনারেটরটিও নষ্ট।

রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপংকর জানান, ২০০৮ সালে স্থাপিত হওয়ার পর থেকে ব্যবহার না করায় জেনারেটরটি নষ্ট হয়ে যায়। ২০১২ এবং ২০১৬ সালে সেটি মেরামত করা হয়। পাঁচ বছর আগে থেকে সেটি নষ্ট।

উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খান নূরউদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘প্রায়ই বিদ্যুৎ-বিভ্রাটে সেবাগ্রহীতাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সকাল ও দুপুরে বিদ্যুৎ না থাকলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে আসা রোগীদের কষ্ট বেড়ে যায়। জেনারেটর দীর্ঘদিন নষ্ট। মেরামত করাতেও অনেক ব্যয় হবে। তেলের যা দাম দৈনিক ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকা খরচ হবে। তবে অপারেশন থিয়েটার চালু রাখতে ছোট জেনারেটর রয়েছে।’

খান নূরউদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর আরও বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সেবার মান উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ