নীলফামারীর ডোমার বামুনিয়া বালিকা দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে ভুয়া নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রেজাউল করিম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ময়বুল ইসলাম ছয় লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তৎকালীন সভাপতির সঙ্গে আমার মনোমালিন্য থাকায় নিয়োগে সমস্যা হয়েছিল এবং যখন নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, সে সময় তাঁর গ্রন্থাগারিক সার্টিফিকেট ছিল না।
এদিকে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম বলেন, এ বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
অভিযোগে জানা যায়, ২০১৪ সালে ১৩ জানুয়ারি বামুনিয়া বালিকা দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ দিয়ে বিভিন্ন সময় তাঁর কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা নেন প্রধান শিক্ষক ময়বুল ইসলাম। তিন মাস পর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাঁকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর ও বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করেন। পরে কাগজপত্র নিয়ে বিভিন্নজনের সঙ্গে আলোচনা করে জানতে পারেন, তাঁকে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে রেজাউল করিমকে কবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, আমি জানি না। নিয়োগ-সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখাতে না পারায়, হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে নিষেধ করেছি।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাকেরিনা বেগম বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে কেউ লিখিত কিংবা মৌখিকভাবে অবগত করেনি। আমি ওই বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিক পদের নিয়োগ সম্পর্কেও জানি না।’