রাজশাহী বিভাগের তিন জেলায় হঠাৎ বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েছে। রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ—এই তিন জেলায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রায় ৪০ মিনিট বিদ্যুৎ ছিল না। নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আংশিক এবং গোটা রাজশাহী জেলায় সকালে এই ‘ব্ল্যাকআউট’ হয়।
গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং চলছিল। জ্বালানি সাশ্রয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের আগের শিডিউল লোডশেডিংয়ের বাইরে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় বিদ্যুৎ চলে যায় শহরের উপশহরে। ওই এলাকার বাসিন্দা মো. রুমন বলেন, সারা দিনে অনেকবার বিদ্যুৎ গেছে। এই সন্ধ্যায় বাড়ির সবাই নামাজে বসেছে। এখনো বিদ্যুৎ নেই।’
নগরীর দরিখর্বনা এলাকার বাসিন্দা শুকুর আলী বলেন, ‘সারা দিন এতবার বিদ্যুৎ গেছে যে আইপিএসের ব্যাটারিটাও ঠিকমতো চার্জ হতে পারছে না। ভ্যাপসা গরমে পরিবারের লোকজন নাজেহাল। বিদ্যুতের সমস্যার ব্যাপারে জানতে বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করা হলেও কেউ তা রিসিভ করে না।’
ওই তিন জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেড। এর প্রধান প্রকৌশলী আবদুর রশীদ বলেন, ‘সকালে পুরো রাজশাহী জেলা এবং নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আংশিক এলাকা ব্ল্যাকআউট হয়। গ্রিড থেকেই বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকে ৯টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত এই তিন জেলা ব্ল্যাকআউট হয়। ৪০ মিনিট পর জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ আসার পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। প্রথমে চাহিদার মাত্র ১০ ভাগ বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। পরে তা বাড়তে থাকে। তবে চাহিদার সবটুকু বিদ্যুৎ পাওয়া যায়নি। তাই পর্যায়ক্রমে সব এলাকায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।’
নেসকোর প্রধান প্রকৌশলী আরও বলেন, ‘রাজশাহী বিভাগে গতকাল বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৩৪৮ মেগাওয়াট। বেলা ২টার দিকে বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে ২৭৪ মেগাওয়াট।’
হঠাৎ ব্ল্যাকআউটের কারণ জানতে চাইলে নেসকোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘নেসকো বিদ্যুৎ সরবরাহ পেয়ে থাকে পাওয়ার গ্রিড অব কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিএল) থেকে। এরপর তা গ্রাহকদের মধ্যে সরবরাহ করা হয়। পিজিসিএলের গ্রিডে সমস্যা হয়েছে।’ তবে কী সমস্যা তা তারা বলতে পারেননি।