পঞ্চগড়ের বোদায় লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি বেড়েছে চার্জার ফ্যান, লাইট, আইপিএস ও সোলারের। এ কারণে ব্যবসায়ীরা ২০ থেকে ৩০ ভাগ বেশি দাম রাখছেন এসব ইলেকট্রনিকস পণ্যের।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাড়তি চাহিদা থাকায় দোকানে ইলেকট্রনিকস পণ্যের সংকট শুরু হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী মালপত্র পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই বেশি দাম রাখছেন ব্যবসায়ীরা।
বোদা বাজারের ব্যবসায়ী সবুজ, রাজু ও রুহুল আমিন বলেন, ‘চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আড়ত থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। টাকা দিয়েও মালপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক পণ্য কয়েক গুণ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এতে আমরাও বিড়ম্বনায় পড়েছি।’
বোদা থানা রাজারদিঘি এলাকা থেকে ওই বাজারে চার্জার ফ্যান কিনতে আসেন বিমল চন্দ্র সেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন বিদ্যুতের ভেলকিবাজি চলছে। দিনে-রাতে সাত-আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। বিশেষ করে রাতের বেলা আসা-যাওয়া বাড়ে।’
সাকোয়া ইউনিয়নের নয়াদিঘি এলাকায় সুমি আক্তার বলেন, ‘সপ্তাহখানেক আগে একটি সোলার দেখে দাম জিজ্ঞেস করেছিলাম। কিন্তু আজ (সোমবার) ওই সোলারের দাম ৩ হাজার টাকা বেশি রেখেছে।’
বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার দায়িত্বে থাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার হিতেন্দ্র নাথ বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের ১৮ মেগাওয়াট বরাদ্দ, কিন্তু পাই ১০ থেকে ১১ মেগাওয়াট। এই ঘাটতি মোকাবিলায় লোডশেডিং বেড়েছে। নির্ধারিত সময়ের বাইরে গ্রাহকদের ঝামেলা নিতে হচ্ছে।’