আগৈলঝাড়ায় একটি ভাঙা সেতুর কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। সেতুটির দু্ই পাশের রেলিং ভেঙে গেছে।
জানা যায়, আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা নবযুগ গ্রামের জামাল হোসেন বেপারীর দোকান সংলগ্ন শিমুল ভাঙার খালের ওপর ২০০১ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে নির্মিত সেতুটি দশ বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পরে রয়েছে। দুই পাশের রেলিং ধসে পড়েছে। সেতুর বেশির ভাগ বিমে মরিচা ধরে ভেঙে দেবে গেছে। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সরেজমিন দেখা যায়, সেতুর দুপাশের সিমেন্টের তৈরি রেলিং ধসে যাওয়ায় এ রাস্তা দিয়ে চলাচলের জন্য মোটরসাইকেল, ইজিবাইক চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সেতুর বেশির ভাগ স্থানে দেবে গেছে। সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল, রিকশা, ভ্যান, সেই সঙ্গে নবযুগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কয়েক শিক্ষার্থী ও মসজিদের মুসল্লিদের চলাচলের একমাত্র সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন কয়েকটি গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ।
সেতু সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ী মো. জামাল হোসেন বেপারী জানান, এই সেতুটির ওপর দিয়ে তাদের গৈলা বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে হয়। সেতুটির কয়েকটি স্থানে ঢালাই ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন লোকজন পারাপার হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল বেপারী, হান্নান বেপারী বলেন, নির্মিত এই সেতুটিতে মানুষ উঠলে কখনো ডানে আবার কখনো বা বামে হেলে পড়ে। অথচ সেতুটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো মাথা ব্যথাই নেই। মাঝে মধ্যে শুনি সেতুটি মেরামত করা হবে, কিন্তু মেরামত কবে হবে তা আমাদের জানা নেই।
উত্তর শিহিপাশা গ্রামের বাসিন্দা ভ্যান চালক মানিক সরদার বলেন, এই সেতুর ওপর দিয়ে উপজেলার নবযুগ, চাঁদশী, গৈলা, উত্তর শিহিপাশা, মধ্য শিহিপাশা, কালুপাড়া, নাঠৈসহ বিভিন্ন এলাকার অন্তত ৫ হাজার মানুষ চলাচল করে।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি বেহাল। সেতুটি নির্মাণের জন্য প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত এর নির্মাণকাজ শুরু করা হবে বলে আশা করছি।