লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পল্লী বিদ্যুতের পড়ে থাকা তারে জড়িয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত স্কুলছাত্র তামিম ইকবালের (১২) জীবন সংকটাপন্ন। তার বাঁ হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। ডান পায়ের দুটি আঙুল কেটে ফেলতে হবে। ঝলসে যাওয়া শরীরের বিভিন্ন অংশে পচন ধরেছে। মাথার আঘাতও গুরুতর। টাকার অভাবে ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছেন না তার দিনমজুর বাবা। তিনি সমাজের বিত্তবানদের কাছে ছেলের জন্য আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন।
তামিম রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর টবগী গ্রামের দিনমজুর শাহাদাত হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় কাটাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
পল্লী বিদ্যুতের অবহেলার কারণে ছেলে বিদ্যুতায়িত হয়েছে বলে অভিযোগ এনে সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন তামিমের বাবা শাহাদাত হোসেন। এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে তামিম বিদ্যুতায়িত হয়। দুই মাস ধরে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, মেঘনা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর চর টবগী গ্রামের একটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। এরপর থেকে ওই খুঁটির বিদ্যুতের তার এলোমেলোভাবে পাড়ে থাকে। বিষয়টি স্থানীয়রা রামগতির পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। দুই দিন পর স্কুলছাত্র তামিম নদীতে গোসল করতে যাওয়ার সময় সেই তারে জড়িয়ে আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে প্রথমে রামগতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
রামগতি পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম রেজাউল করিম দাবি করেন, মেঘনা নদী ভাঙনের কারণে রাতে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যায়। কিন্তু বিষয়টি কেউ তাঁদের জানায়নি। দুর্ঘটনার পর বিষয়টি জানতে পারেন। নদী ভাঙনের মুখে বিদ্যুতের খুঁটি ঝুঁকিতে থাকার সময় উদ্যোগ না নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, হঠাৎ ভাঙন বেড়ে গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যায়।
আহত স্কুলছাত্র তামিমের দিনমজুর বাবা শাহাদাত হোসেন বলেন, টাকার অভাবে তিনি ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছেন না।