যশোরের মনিরামপুরে যোগীপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামতের সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী কাজ না করে ২ লাখ টাকা উত্তোলনের জন্য বিল ভাউচার জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক শিপ্রা দাসের বিরুদ্ধে। তবে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দেবব্রত রায় মোটামুটি কাজ হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, চলতি অর্থ বছরে যোগীপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের রঙের কাজ, বারান্দায় গ্রিল স্থাপনসহ আনুষঙ্গিক কাজে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। বরাদ্দ অনুযায়ী উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর প্রাক্কলন তৈরি করে দেয়। সে অনুযায়ী কাজ দেখিয়ে ইতিমধ্যে টাকা উত্তোলনের জন্য বিল ভাউচার জমা দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের ভবনের বাইরে ও বারান্দায় নামমাত্র রঙের কাজ করা হয়েছে। শিক্ষকদের দপ্তরসহ চার শ্রেণিকক্ষের ভেতরের কোথাও রঙের কাজ হয়নি। ভবনের ভেতরের অধিকাংশ স্থানে ছাদ ও দেওয়ালের সংযোগস্থানে ফাটল রয়েছে। বাইরে ও বারান্দায় নামমাত্র রং টানা হয়েছে। এ ছাড়া বারান্দায় আগ থেকে গ্রিল দেওয়া থাকলেও নতুন করে গ্রিল লাগানোর জন্য অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। ফুল বাগানের জন্য ছোট্ট একটি অংশ ঘেরা হয়েছে। ভেতরে চারটি নতুন ফ্যান ঝোলানো হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিপ্রা দাস বলেন, ‘আমি প্রাক্কলন অনুযায়ী সব কাজ করেছি। তবু কিছু মানুষ মিথ্যা রটনা রটাচ্ছে।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেহেলী ফেরদৌস বলেন, ‘বিদ্যালয়টির সংস্কার কাজ দেখতে আমি সরেজমিনে যাব।’