পাবনার সাঁথিয়ার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের জায়গার গাছ কেটে ও পুরোনো ঘর ভেঙে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের অভিযোগ দ্বিতীয় দফায় তদন্ত করেছেন পাবনা জেলা সিভিল সার্জন মনিসর চৌধুরী। গতকাল শনিবার সকালে তিনি ক্ষেতুপাড়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং আগে নির্মাণ করা স্থাপনার আলামত সংগ্রহ করেন।
এর আগে এলাকাবাসীর পক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ একাধিক স্থানে হাসপাতালের জমি রক্ষায় লিখিত অভিযোগ করেন রফিকুল ইসলাম। ওই স্থানে আগে কোনো স্থাপনা ছিল না, প্রশাসনের এমন তথ্যের ভিত্তিতে সাবেক তিনজন ইউপি সদস্য ও পাঁচ শতাধিক এলাকাবাসী হাসপাতালের পক্ষে তদন্ত দলের কাছে মুচলেকা দেন।
তবে এলাকাবাসী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ঘর নির্মাণ করা জায়গাটি হাসপাতালের। এখানে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের পুরোনো গাছ ছিল। গাছ কেটে ও পুরোনো ভবন ভেঙে সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসন এখানে গুচ্ছগ্রাম তৈরি করেছে। তারা ইউনিয়নবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালের জায়গা দখলমুক্ত করতে চায়।
গত ২৯ নভেম্বর এক চিঠিতে দালান ভাঙা ও গাছ কাটার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সিভিল সার্জন পাবনা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি দেন ক্ষেতুপাড়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জামাল আহমেদ বলেন, আদালতের কোনো নোটিশ আগে পাননি তিনি। ঘর নির্মাণের শেষ মুহূর্তে ওই নোটিশটি পেয়েছেন তিনি। এর আগে কেউ এ বিষয়ে কোনো অভিযোগও করেননি।