Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

ইউটার্ন না থাকায় জনদুর্ভোগের শঙ্কা

গাজীপুর প্রতিনিধি

ইউটার্ন না থাকায় জনদুর্ভোগের শঙ্কা

রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের শিববাড়ী পর্যন্ত বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের নির্মাণকাজ প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটির গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা থেকে শিববাড়ী মোড় পর্যন্ত অংশে কোনো ইউটার্ন রাখা হয়নি। এতে মহাসড়কের দুপাশে থাকা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতে জনদুর্ভোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে বিআরটি প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বলছে, ভবিষ্যতে ওই এলাকায় উড়ালসড়ক এবং ইউটার্নের ব্যবস্থা করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রকল্পের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে যানবাহন চলাচলের জন্য উড়ালসড়ক ও ইউটার্ন থাকলেও চান্দনা চৌরাস্তা থেকে শিববাড়ী মোড় পর্যন্ত সড়কে রাখা হয়নি। ইতিমধ্যে মহাসড়কের ওই অংশে সড়ক বিভাজক দিয়ে দুই লেনের বিআরটি প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত সড়ক আলাদা করা হয়েছে। কিন্তু চৌরাস্তা থেকে শিববাড়ী মোড়ের আগে ডানে বা বামে ইউটার্ন নেওয়ার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। প্রকল্প চালু হলে বিআরটির লেনে অন্য কোনো যানবাহন চলার সুযোগ থাকবে না।

ফলে মহাসড়কের দুপাশে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চলাচলকারী মানুষজনকে দুর্ভোগে পড়তে হবে। তাঁদের ঘুরে আসতে হবে অতিরিক্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ।

সরেজমিনে দেখা যায়, চান্দনা চৌরাস্তা থেকে শিববাড়ী মোড় পর্যন্ত সড়কের দুপাশে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনস, জেলা কারাগার, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিস, জেলা জনস্বাস্থ্য অফিস, মৎস্য ভবন, কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অফিস, এলজিইডি অফিস, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, মহানগর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান কার্যালয়। এ ছাড়া রয়েছে বেশ কিছু কলকারখানা।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম বলেন, ‘মহাসড়কের উত্তর পাশে পুলিশ লাইনস রয়েছে। নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য পুলিশ লাইনসের সামনে অবশ্যই ইউটার্ন জরুরি। বিষয়টি ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। আশা করি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

মহাসড়কের লক্ষ্মীপুরায় অবস্থিত স্পেরো অ্যাপারেলস লিমিটেড নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাওন ইসলাম বলেন, ‘কারখানায় ১৪ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। এর আশপাশে আরও পাঁচ-ছয়টি কারখানা রয়েছে। তবে কাছাকাছি ইউটার্ন না থাকায় অনেক পথ ঘুরে আসতে হবে কারখানাসংশ্লিষ্টদের। এতে সময় ও অর্থ—দুটোরই অপচয় হবে।’

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, ‘ইউটার্ন না থাকায় আমাদের জন্য ভোগান্তি হবে। বিষয়টি নিয়ে প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথাও বলেছি।’

বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পের এয়ারপোর্ট থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত অংশে যেসব জায়গায় ইউটার্ন রাখা দরকার, সেসব স্থানে রাখা হয়েছে। কিন্তু চৌরাস্তা থেকে শিববাড়ী পর্যন্ত অংশটি বিআরটির সম্প্রসারিত অংশ। এই অংশের নকশায় ফ্লাইওভার বা ইউটার্ন আছে কি না, তা দেখতে হবে। যদি না থাকে, তাহলে পরে ইউটার্নের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ