আগৈলঝাড়ার গৈলা ইউনিয়নের রথখোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ভদ্রপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটারের রাস্তাটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার হয়নি। এতে এলাকাবাসীর চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার লোকজন যাতায়াত করছে। রাস্তাটির কিছু কিছু জায়গায় ভেঙে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
রাস্তায় চলাচলকারী শিক্ষার্থী হাফিজা আক্তার বলে, স্কুলে যাতায়াতের সময় গর্তে পড়ে ভ্যান উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে আমাদের। স্কুলে যাতায়াতের আর রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়ে এটা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
এলাকাবাসী এলজিইডিতে সংস্কারের দাবি জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেছে। রাস্তার বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে খানাখন্দে পানি জমে থাকায় ঘটে দুর্ঘটনা।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার গৈলা রথখোলা থেকে বড়ইতলা হয়ে ভদ্রপাড়া পর্যন্ত অন্যতম সড়ক এটি। রাস্তাটি মেরামত না করায় রাস্তার বেশির ভাগ স্থানেই বিটুমিন ও ইট-পাথর উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ভ্যান ও ইজিবাইক চলে ধীর গতিতে।
এই রাস্তায় চলাচলকারী হালিম সরদার, শহিদুল ইসলাম অনুযোগ করেন, নির্মাণে নিম্নমানের কাজ করা হয়েছিল। এতে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় অনেক গর্ত। উপজেলার সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গৈলা প্রাথমিক বিদ্যালয়, গৈলা দাখিল মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী ও গৈলা বাজারে আসা লোকজন এ ভাঙা রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। তাই দ্রুত রাস্তাটির সংস্কার জরুরি।
রথখোলা বাজারের ব্যবসায়ী মামুন সরদার জানান, রাস্তার অসংখ্য স্থানে কার্পেটিং উঠে ইটের খোয়া ও পাথর বেরিয়ে পড়েছে।
ইজিবাইক চালক সাখওয়াত সরদার বলেন, রাস্তায় অনেক খানাখন্দ থাকায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে সুস্থ-সবল মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
ভ্যান চালক শাহিন ফকির বলেন, ভাঙাচোরা রাস্তায় ভ্যান চালাতে গিয়ে প্রায়ই নাটবল্টু খুলে পড়ে। ফলে সারা দিন ভ্যান চালিয়ে যা রোজগার করি, তার একটা অংশ মেরামতেই শেষ হয়ে যায়।
উপজেলা প্রকৌশলীর অতিরিক্ত দায়িত্বে অহিদুর রহমান বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। পাশ হলেই সংস্কার শুরু হবে।