কক্সবাজারের রামুতে এক বৃদ্ধাকে এবং খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে এক তরুণীকে কুপিয়ে হত্যার পর মাটিচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রামুর উমখালীর মিঠাছড়ি হাজিরপাড়ায় নিহত বৃদ্ধার নাম মমতাজ বেগম (৬০)। গতকাল রোববার সকালে বাড়ির নলকূপের পাশে নতুন খোঁড়া মাটির নিচে লাশের সন্ধান পান তাঁর ছেলে।
এ ঘটনায় বৃদ্ধার পুত্রবধূ রাশেদা বেগমকে (২৫) আটক করা হয়েছে। তিনি স্বীকার করেছেন, শাশুড়ির সঙ্গে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে তাঁকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর লাশ টুকরো টুকরো করে বস্তাবন্দী করে মাটিচাপা দেন।
রামু থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মন্জু বলেন, লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
এদিকে মানিকছড়ির গরমছড়ি গদিচন্দ্রপাড়ায় নিহত তরুণীর নাম জীবনমালা ওরফে রুমি ত্রিপুরা (১৮)। তিনি ওই এলাকার মৃত রশীরাম ত্রিপুরার মেয়ে।
পুলিশ গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টায় ঘটনাস্থল গিয়ে লাশ উদ্ধার এবং প্রতিবেশী নারী বুদক্তি ত্রিপুরাকে (৩০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল ১০টার দিকে বুদক্তি এবং তাঁর স্বামী পূর্ণ কুমার ত্রিপুরা উঠোন থেকে রুমিকে ডেকে নিয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে মাথার চুল ও রক্তাক্ত কাপড় আলাদা করে মরদেহ বাড়ির পাশে পুঁতে রাখেন।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহনূর আলম বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রতিবেশী বুদক্তি ত্রিপুরাকে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত পরবর্তী প্রক্রিয়া চলমান।’