যশোরের চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য শতাধিক প্রত্যাশী জেলা কমিটির কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।
জীবনবৃত্তান্ত আহ্বানের এক মাস পার হলেও নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করতে পারেনি জেলা কমিটি। তবে ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আগে বা পরেই এই কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ৬ জুলাই ইব্রাহিম হোসেনকে সভাপতি এবং বি এম শফিকুজ্জামান রাজুকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা ছাত্রলীগের ১১ সদস্যের আংশিক কমিটি দেয় জেলা ছাত্রলীগ। এর পর যশোর জেলা ছাত্রলীগের দুটি কমিটি বিদায় নিয়ে তৃতীয় কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি।
তবে ২০১৫ সালে জেলা ছাত্রলীগ কমিটি দেওয়ার পরপরই চৌগাছায় সুমন সরকারকে সভাপতি ও শামিম রেজাকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি পাল্টা কমিটি দেয় একটি পক্ষ। যদিও পাল্টা সে কমিটির কার্যক্রম কিছুদিন পর থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। তবে পাল্টা কমিটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলেও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ধারার সঙ্গে থেকে উপজেলা ছাত্রলীগ দীর্ঘদিন ধরে অন্তত চারটি ধারায় বিভক্ত হয়ে কর্মসূচি পালন করতে থাকে।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এবং দলীয় কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে গত ২০ নভেম্বর চৌগাছায় নতুন কমিটি দেওয়ার উদ্যোগ নেয় জেলা কমিটি। এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে পদ পেতে ইচ্ছুকদের ৭ দিনের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের ই-মেইলে জীবনবৃত্তান্ত পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সংগঠনের একটি সূত্রে জানা গেছে, ই-মেইলের মাধ্যমে উপজেলার ১০৭ জন নেতা পদ পেতে জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি নতুন কমিটির নেতৃত্বেই পালিত হোক সেটাই সবাই চাচ্ছেন।’
যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীব হাসান পল্লব মুঠোফোনে বলেন, ‘বেশ কিছু জীবনবৃত্তান্ত পেয়েছি। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য ২০ জনের বেশি নেতা জীবনবৃত্তান্ত দিয়েছেন। সেগুলো পর্যালোচনা চলছে।’
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবীর পিয়াস বলেন, ‘সবার সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আগেই কমিটি দেওয়া হবে।’