Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বিপৎসীমার নিচে নদীর পানি দুর্ভোগ কাটেনি নগরবাসীর

সিলেট প্রতিনিধি

বিপৎসীমার নিচে নদীর পানি দুর্ভোগ কাটেনি নগরবাসীর

১৩ দিন পর সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচে নেমেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে সুরমার পানি বিপৎসীমার প্রায় ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আকস্মিক বন্যার প্রভাবে কয়েক দিন আগেও সিলেট নগরীর উপশহর এলাকার প্রধান সড়কে উরু পর্যন্ত পানি ছিল। তবে এখন পানি নেমে ভেসে উঠেছে চেনা সড়ক। তবে পানি কমা শুরু করলেও ময়লা-আবর্জনার কারণে নতুন করে দুর্ভোগে পড়েছে নগরবাসী।

গতকাল সিলেটের উপশহরের প্রধান সড়কে গিয়ে দেখা যায়, একেবারে পানিহীন সড়ক। আবাসিক এলাকার গলির ভেতরের অন্যান্য সড়ক থেকেও নেমে গেছে পানি। মঙ্গলবার নগরীর তালতলা এলাকাও দেখা গেছে একই চিত্র। এসব এলাকার বাসাবাড়ি থেকেও পানি নেমে গেছে। দুই-একটি নিচু এলাকা ছাড়া নগরীর বেশির ভাগ এলাকা থেকেই নেমে গেছে পানি।

এদিকে, সিলেট পয়েন্টে সুরমার পানি কমলেও কানাইঘাট পয়েন্টে এখনো বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। কুশিয়ারা নদীর পানি এখনো সব কটি পয়েন্টেই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নগরীর পানি দ্রুত কমলেও গ্রামাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। জেলার ১২টি উপজেলায় এখনো পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সিলেট পয়েন্টে সুরমার পানি সকাল ৬টায় ছিল ১০.৬৫ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা হচ্ছে ১০.৮০ সেন্টিমিটার। সকাল ৬টায় কানাইঘাট পয়েন্টে ছিল ১৩.১৮ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা হচ্ছে ১২.৭৫ সেন্টিমিটার।

এর আগে গত ১১ মে থেকে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গত ১৬ মে থেকে তলিয়ে যেতে থাকে সিলেট নগরীর নদীতীরবর্তী ও আশপাশের বেশির ভাগ এলাকা। এর ৮ দিন পর নগর থেকে নামল পানি।

এদিকে পানি কমা শুরু করলেও নগরবাসীর দুর্ভোগ থেমে নেই। পানি নেমে যাওয়া এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গন্ধ। আশপাশে ড্রেনের ময়লা আবর্জনার বাসা বাড়িতে প্রবেশ করেছে। তাই পানি নেমে যাওয়ার পর থেকেই বাড়ি ঘর ও আশপাশ পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছেন মানুষজন।

নগরের তালতলা এলাকার বাসিন্দা সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত বলেন, গত সাত দিন ঘরের ভেতর পানি ছিল। এখন পানি নামলেও ড্রেনের ময়লার স্তূপ জমে আছে ঘরে। দুর্গন্ধে ঘরের ভেতরে ঢোকা দায়। তিনি বলেন, পুরো এলাকাজুড়েই দুর্গন্ধ। বেড়েছে মশার উপদ্রবও। সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে এলাকা পরিচ্ছন্ন করা প্রয়োজন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা বলেন, বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। পানি দ্রুত নেমে যেতে শুরু করেছে। পানি নামার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে দ্রুতই পুরো জেলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, পানি নেমে যাওয়ার পর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে মশা-মাছি ও কীটপতঙ্গ নিধনের জন্য ওষুধ ছিটানো এবং ময়লা দুর্গন্ধ দূর করতে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ