ফরিদপুরে পদ্মার পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ৮ দশমিক ৪২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলায় পদ্মা নদীর বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার।
পানি বৃদ্ধির ফলে ফরিদপুর সদর উপজেলা দুটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চরাঞ্চলের চল্লিশটি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। এ ছাড়া গত দুই দিনে পদ্মা ও মধুমতি নদী ভাঙনে ৩৯ বসতভিটা নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান জানিয়েছেন, আমার ইউনিয়নটি পদ্মা নদী বেষ্টিত। এ কারণে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ২৮-৩০ গ্রামের নিম্নাঞ্চলের পানি প্রবেশ করেছে। সেখানকার ১শ একর পাট ও ৫০ একর বাদাম খেত তলিয়ে গেছে।
এই উপজেলার ডিক্রীরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিন্টু ফকির বলেন, ‘আমার ৫শ পরিবার এখন পানি বন্দী। ১০ থেকে ১২টি গ্রামে পানি এসেছে। এই সব এলাকার ১শ একর বাদাম ও ২০ একর পাটে খেত তলিয়েছে। এই পানিতে কৃষকের খেতের ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানিয়েছি।’
ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটন ঢালী বলেন, ‘পানি বৃদ্ধির খবরে আমি চরাঞ্চলে পরিদর্শনে গিয়েছি। সেখান মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। যে সব চাষিরা এখনো খেত থেকে বাদাম তুলতে পারেনি তাঁদের খেত তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া পাট, ধান ও কলা বাগানে পানি এসেছে।’
সরকারি এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এ বিষয়ে আমরা যোগাযোগ রাখছি। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, যমুনার পানি বৃদ্ধির কারণে ফরিদপুরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীতে স্রোত বেশি থাকায় বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলে সেটিকে রক্ষা করার চেষ্টা করছি।
পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, ‘পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। তবে আজ কালের মধ্যে সেটি অতিক্রম করবে।’