রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙন ঠেকাতে আগামী মাসেই শুরু হচ্ছে নদীর খনন। ওই এলাকায় এখন নদীর তীর রক্ষার কাজও চলছে। তীর রক্ষা বাঁধের সুরক্ষার জন্যই বাঘার আলাইপুর থেকে চকরাজাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার নদী খনন করা হবে।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে চারঘাট ও বাঘা উপজেলার পদ্মার বাম তীরে বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। দুই উপজেলায় মোট ৭২২ কোটি টাকায় ১৯টি প্যাকেজের মাধ্যমে কাজ চলছে। এগুলোর মধ্যে ১১টি প্যাকেজে বাঁধ নির্মাণ ও ৮টি প্যাকেজে নদী খননের কাজ রয়েছে। আগামী মাসে খনন শুরু হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে পাউবোর কর্মকর্তারা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
পাউবোর রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, বাঘা ও চারঘাটের ভাঙন ঠেকাতে বাম তীরে বাঁধ নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। ওই এলাকায় রাজশাহী শহর রক্ষার টি-বাঁধ ও আই-বাঁধের মতো করে এই বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া ১২ কিলোমিটার নদী খনন করা হবে। ফলে এসব স্থাপনা ভাঙনমুক্ত থাকবে।
জহিরুল ইসলাম জানান, নদী খননের কাজ শেষ হলে পদ্মার ওই অংশে আবার নাব্যতা ফিরবে। আর নদীর কেন্দ্র বরাবর মূল স্রোতোধারা প্রবাহিত হবে। এর ফলে দুই পাড়ে ভাঙন কমবে। এ কারণে নদীর স্থায়ী বাঁধ, আই-বাঁধ, স্পার ও টি-বাঁধও ঝুঁকিমুক্ত থাকবে। পরিকল্পনা করেই নদী খনন করা হচ্ছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডি এম বাবুল মনোয়ার বলেন, ‘পদ্মা নদীর ভাঙনে কয়েক বছরে শত শত বসতবাড়ি হারিয়ে গেছে। আট মাসের মধ্যেই প্রায় ২৫০টি বাড়িঘর ভেঙে গেছে। কৃষিজমি হারিয়ে গেছে। চকরাজাপুরকে বাঁচাতে নদী খননের উদ্যোগটি কাজে আসবে। আমরা চাই দ্রুততম সময়ের মধ্যেই খননের কাজটি শুরু হোক।’
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘মাঝে করোনার কারণে কাজে কিছুটা ধীরগতি দেখা দিলেও আবার কাজে গতি এসেছে। আশা করছি, আগামী মাসের মধ্যেই নদী খননের কাজ শুরু করা যাবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সম্প্রতি এলাকা পরিদর্শন করে শিগগিরই খনন শুরুর পক্ষেই মতামত দিয়েছেন।’