গুটি জাতের আম আজ থেকেই নামাতে পারবেন রাজশাহীর চাষিরা। পর্যায়ক্রমে ২০ মে থেকে ২০ আগস্টের মধ্যে আসবে উন্নত জাতের আমগুলো। জেলা প্রশাসন এবারও আম নামানোর সম্ভাব্য দিন ঠিক করে দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সভায় জাতভেদে আম নামানোর সম্ভাব্য তারিখ জানানো হয়। সভায় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ছাড়াও ফল গবেষক, আমচাষি, ব্যবসায়ী ও কুরিয়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শরিফুল হক জানান, কৃষি বিভাগ, ফল গবেষক, চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বছর সব ধরনের গুটি জাতের আম নামানোর সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা হয়েছে ১৩ মে। এ ছাড়া আগামী ২০ মে থেকে গোপালভোগ, ২৫ মে থেকে রানীপছন্দ ও লক্ষণভোগ বা লখনা; ২৮ মে থেকে হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাতি নামানো যাবে। আর ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে আম্রপালি ও ফজলি; ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারী-৪, ১৫ জুলাই থেকে গৌড়মতি এবং ২০ আগস্ট থেকে ইলামতি আম নামানো যাবে। নির্ধারিত সময়ের আগে অপরিপক্ব আম নামালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এ বছর ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমবাগান আছে। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ মেট্রিক টন। রাজশাহী মহানগর ও জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমবাগান আছে বাঘা ও চারঘাট উপজেলায়। কিন্তু চলতি মৌসুমে এ দুটি উপজেলায় গাছে মুকুল আসার হার সবচেয়ে কম। একরপ্রতি গড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও এ দুই উপজেলায় কম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, যেখানে আম কম থাকে, সেখানে আম বড় হয়। ঝরেও পড়ে কম। তাই তাঁরা আশা করছেন, উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, তা পূরণ হবে।