ধনবাড়ী উপজেলার জামতলী কমিউনিটি ক্লিনিকের অবকাঠামোগত সংস্কার করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে চিকিৎসার পরিবেশ অবশেষে ফিরেছে সেখানে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে রোগীদের বসার জায়গা, আসবাবপত্র এবং জানালা-দরজা মেরামতসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে। এখন সেখানে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পুষ্টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ, রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাসহ নানা ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
দীর্ঘদিন কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত ছিল গ্রামবাসী। ওই ক্লিনিকে বেঁধে রাখা হতো গবাদিপশু। সামান্য বৃষ্টিতেই দেখা দিত জলাবদ্ধতা। এ নিয়ে ক্ষোভ ছিল সেবাগ্রহীতাদের মাঝে।
ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা নাসির উদ্দিন বলেন, পুরোনো আমাশয়ের ভোগান্তি নিয়ে ক্লিনিকে এসেছিলাম। কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী নাম ঠিকানা রেজিস্ট্রি খাতায় উঠিয়ে ওষুধ দিয়েছে।
জামতলী বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক জানান, প্রভাবশালীরা ক্লিনিকের একপাশে গরু-মহিষের খামার করেন। প্রবেশ পথের দুপাশে দোকানপাট থাকায় বৃষ্টির পানি ক্লিনিক চত্বর উপচে অফিসে ঢুকত। গরু-মহিষের নোংরা মলমূত্র ক্লিনিক চত্বরে জমত। গন্ধে ক্লিনিকে যাওয়া যেত না।
ক্লিনিক পরিচালনা কমিটির সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, বছর দেড়েক আগেও নোংরা পানির জলাবদ্ধতা ও দুর্গন্ধের কারণে ক্লিনিকে সেবা নিতে আসত না লোকজন। বর্তমানে ক্লিনিকের অবকাঠামোগত সংস্কার করা হয়েছে। সেবার মানও বাড়ানো হয়েছে।
যদুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর ফিরোজ আহমেদ জানান, ‘ক্লিনিকের সীমানা দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। ক্লিনিক চত্বরে মাটি ভরাট করে ঢালাই করা হয়। ফলে এখন আর জলাবদ্ধতার সুযোগ নেই।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম শাহাবুদ্দীন খান বলেন, জামতলীর মতো জেলার সব পুরোনো কমিউনিটি ক্লিনিক সংস্কার এবং প্রয়োজন সাপেক্ষে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।