Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

ঢাকা ও চট্টগ্রামের আইসিডি: হাইব্রিড, নন-হাইব্রিডে আটকা শতকোটির গাড়ি

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

ঢাকা ও চট্টগ্রামের আইসিডি: হাইব্রিড, নন-হাইব্রিডে আটকা শতকোটির গাড়ি

হাইব্রিড, নন-হাইব্রিড বিতর্কে চার বছর ধরে চট্টগ্রাম ও ঢাকার কমলাপুর ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোতে (আইসিডি) আটকে আছে শতকোটি টাকার ২৪-২৫টি বিলাসবহুল গাড়ির খালাস।

আমদানিকারকেরা বলছেন, আটকে থাকা ব্র্যান্ড নিউ রেঞ্জ রোভার ও বিএমডব্লিউ গাড়িগুলো হাইব্রিড। তবে কাস্টমস কর্মকর্তাদের দাবি, হাইব্রিড ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা বিলাসবহুল গাড়িগুলো নন-হাইব্রিড। রাজস্ব ফাঁকি দিতেই মিথ্যা ঘোষণায় এসব গাড়ি আমদানি করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের সমন্বয়ে চালিত যানবাহনগুলো হাইব্রিড গাড়ি নামে পরিচিত। সিসিভেদে হাইব্রিড গাড়িগুলো নন-হাইব্রিড গাড়ির প্রায় অর্ধেক শুল্ক সুবিধা পায়।

কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, ২৯৯৬ সিসির হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক ২২১ শতাংশ। একই সিসির নন-হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক ৪৩০ শতাংশ।

খালাস আটকে থাকার বিষয়ে চট্টগ্রামের আমদানিকারক ও বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারক সমিতির সাবেক মহাসচিব মাহবুবুল হক চৌধুরী বলেন, চার বছর ধরে হাইব্রিড হিসেবে এসব গাড়ি আমদানি করা হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে চার শতাধিক গাড়ি হাইব্রিড হিসেবেই খালাস হয়েছে। হঠাৎ গত জানুয়ারি থেকে নন-হাইব্রিড বলে শুল্কায়ন করা হচ্ছে এবং বিপুল পরিমাণ জরিমানা করা হচ্ছে; যা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। হাইব্রিড, নন-হাইব্রিড গাড়ির ভিন্নতা রয়েছে। শুল্কায়নের জটিলতায় বর্তমানে ২৪-২৫টি গাড়ি আটকে আছে। এসব গাড়ির প্রতিটির মূল্য ৫ কোটি টাকা হবে বলে জানান মাহবুবুল হক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের একজন উপকমিশনার বলেন, ওয়ার্ল্ড কাস্টমের তথ্য অনুযায়ী সম্প্রতি আমদানি করা গাড়িগুলো নন-হাইব্রিড হিসেবেই শুল্কায়নের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার (সদ্য বদলি) মো. আহসান উল্যা বলেন, ‘বিলাসবহুল গাড়িগুলো মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আনা হয়েছে। এ জন্য আটকে দেওয়া হয় এবং মিথ্যা ঘোষণার দায়ে জরিমানা করা হয়েছে।’

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, অটো মিউজিয়াম নামে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুটি ব্র্যান্ড নিউ রেঞ্জ রোভার এবং বিএমডব্লিউ গাড়ি আমদানি করে। গাড়ি দুটি খালাসে কাস্টমসে দাখিল করা বিল অব এন্ট্রিতে আমদানিকারকের প্রতিনিধি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মিথ্যা তথ্য দেয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্ট সেল (সিআইসি), চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) ইউনিটের তদন্তে মিথ্যা ঘোষণার বিষয়টি প্রমাণিত হয়।

শুল্ক ফাঁকি দিতে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়ায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস গাড়ি দুটির খালাস আটকে দেয়। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে গাড়ি খালাসের চেষ্টা করায় অটো মিউজিয়ামকে ১৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা জরিমানাও করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। গত ২১ মার্চ চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ফাইজুর রহমান দুটি পৃথক বিচারাদেশে এই জরিমানা করেন।

ঢাকার গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অটো মিউজিয়ামের মালিক মো. হাবিব উল্যা খান ডন দাবি করেন, নিয়ম মেনে মাইল্ড হাইব্রিড গাড়ি আমদানি করে কাস্টমসে সঠিক তথ্য দিয়েছেন। কাস্টমস হাইব্রিড গাড়িকে নন-হাইব্রিড দাবি করে খালাস আটকে দিয়েছে। 

হাবিব উল্যা বলেন, ‘আমার আমদানি করা গাড়ি দুটি হাইব্রিড। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড হাইব্রিড আমদানির শুল্কায়নে এখনো কোনো এসআরও করতে পারেনি। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ হয়রানি করার জন্যই গাড়ির খালাস আটকে দিয়েছে। কাস্টমসের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমি আইনি পদক্ষেপ নেব।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ