মাত্র কদিন আগেই পিচঢালাই হয়েছে রাস্তায়। কিন্তু সপ্তাহ না পেরোতেই ফাটল দেখা দিয়েছে জায়গায় জায়গায়। কোথাও কোথাও উঠে গেছে কার্পেটিং। সংস্কার-পরবর্তী এমন বেহাল চিত্র দেখা দিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার একটি সড়কে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে এমন অবস্থা হয়েছে রাস্তাটির। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী দুষছেন অধিক লোডের গাড়ি চলাচলকে।
বিজয়নগর উপজেলার মির্জাপুর থেকে হরষপুর পর্যন্ত রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হরষপুর থেকে পাহাড়পুর, বিষ্ণুপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক হওয়ায় হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অধীনে বর্তমানে সড়কটির সাড়ে ৬ কিলোমিটারের সংস্কারকাজ চলছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৬ লাখ টাকা। টেন্ডার পেয়ে ১২ আগস্ট কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাঙামাটি রিপন (জেবি)। এরই মধ্যে রাস্তাটির প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার কার্পেটিং শেষ হয়েছে। কিন্তু কাজ শেষ হতে না-হতেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
স্থানীয় ব্যবসায়ী কাজী শরিফ উদ্দীন বলেন, ব্যবসায়িক কাজে প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে মালামাল নিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। দীর্ঘদিন বেহাল থাকার পর রাস্তাটির কাজ শুরু হয়েছে। এভাবে কাজ করলে কয়েক দিনের মধ্যেই রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে। মির্জাপুর মোড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক বাবুল মিয়া বলেন, রাস্তাটিতে গাড়ি চলাচল বেশি। তা জানা সত্ত্বেও এমন নিম্নমানের কাজ অত্যন্ত দুঃখজনক।
অধিক লোডের গাড়ির কারণে রাস্তার ঢালাই উঠে গেছে বলে দাবি করেছেন বিজয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনিছুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ঠিকাদারকে এসব অংশ মেরামত করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাঙামাটি রিপন (জেবি)-এর অন্যতম মালিক আতাউর রহমান পিন্টু বলেন, ‘নষ্ট হয়ে যাওয়া জায়গাগুলো আমাদের প্রতিনিধি দেখে এসেছে। দ্রুত তা মেরামত করে দেওয়া হবে।’