মির্জাপুরে মায়ের সঙ্গে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আঁখি আক্তার নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় মির্জাপুর-পাথরঘাটা আঞ্চলিক সড়কের ত্রিমোহন এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা বেলা ২টায় আঁখির মরদেহ উদ্ধার করেন। এ দুর্ঘটনায় আঁখির মা ফরিদা ইয়াসমিন আহত হয়েছেন।
আঁখি উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের গায়রাবেতিল গ্রামের আব্দুল মিয়ার মেয়ে। তাঁর মা ফরিদা ইয়াসমিন উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের উত্তর পেকুয়া জগরণী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
পুলিশ জানায়, আঁখি আক্তার এ বছর উপজেলার বাঁশতৈল খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে তার মায়ের সঙ্গে মামা ফরহাদ মিয়ার সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চড়ে মির্জাপুরে পরীক্ষা দিতে যায়। ফেরার পথে ত্রিমোহন এলাকায় পৌঁছালে অন্য একটি অটোরিকশাকে ওভারটেক করার চেষ্টা করে। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রায় ১০০ ফুট নিচে বংশাই নদীতে পড়ে তলিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন এসে আঁখির মা ফরিদা ইয়াসমিন, চালক ফরহাদ মিয়া ও অটোরিকশাটি উদ্ধার করলেও আঁখিকে পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা দুই ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে বেলা ২টার দিকে নদী থেকে আঁখির মৃতদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনার পর আশপাশের শত শত লোক নদীর তীরে এসে ভিড় জমায়।
আঁখির সহপাঠী হেলেনা আক্তার ও রিয়া আক্তার জানান, রায়হান নামের এক যুবকের সঙ্গে আঁখির বিবাহ ঠিক ছিল। পরীক্ষা শেষে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, আইনিপ্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।