দুর্গাপুর উপজেলায় উৎপাদিত আম স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ইউরোপেও রপ্তানি হয়। উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। মুকুলের পরিমাণ কম হলেও গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অনেক এলাকায় কিছু আম গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল। অনেক গাছ মুকুল ফোটার অপেক্ষায় রয়েছে। মুকুল দেখা দেওয়ায় ভালো ফলনের আশায় গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পারছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের ফলন ভালো হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল শুক্রবার সকালে আম বাগান পরিচর্যা করছিলেন দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের হাজি আইয়ুব আলী। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘তিন বছর ধরে আমে লোকসান গুনতে হচ্ছে। তবুও হাল ছাড়িনি। ২০০টির বেশি আম গাছ আছে। মাঘ মাসেই দুই একটা গাছে মুকুল দেখা দিয়েছে।’
শানপুকুরিয়া গ্রামের হযরত আলী জানান, আগাম মুকুল দেখার পর চাষিরা অনেক খুশি। এই মুকুল টিকে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে। তবে ঘন কুয়াশা থাকলে মুকুল পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, উপজেলায় ১ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। আবহাওয়াগত ও জাতের কারণে মূলত নির্ধারিত সময়ের আগেই কিছু কিছু গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশার কবলে না পড়লে এসব গাছে আগাম আমের ফলন পাওয়া যাবে।