ক্রিকেটের মতো টেনিসও সাধারণত ‘ভদ্র লোকের’ খেলা হিসেবেই বিবেচিত। ‘এলিট স্পোর্টস’ হিসেবেও এর যথেষ্ট নামডাক আছে। তবে এই খেলাও পুরোপুরি বিতর্কমুক্ত নয়। বিভিন্ন সময় ‘ব্যাড বয়’দের পদচারণায় টেনিসের গোছানো জগৎও ধাক্কা খেয়েছে। এর সর্বশেষ সংযোজন নিক কিরগিওস। তবে তাঁর আগেও ‘ব্যাড বয়’ তকমা পাওয়া এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা খেলোয়াড় হিসেবে সাফল্যের শিখর ছুঁয়েছেন। এই তালিকায় আছে জন ম্যাকেনরো, জিমি কনর্স ও আন্দ্রে আগাসির মতো কিংবদন্তিরাও। এমনকি এই সময়ের আলেক্সান্ডার জভেরভ ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে নোভাক জোকোভিচও আছেন এই তালিকায়।
ব্যাড বয়দের মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে বিখ্যাত নাম জন ম্যাকেনরোর। তাঁর মতো কেউ খেলার মধ্যে এত তর্ক করেছেন কি না, সন্দেহ! এমনকি কোর্টে কর্মকর্তাকে গালি দিতে ও বল দিয়ে আঘাত করতেও ছাড়েননি তিনি। পরে অল্প বয়সে অত্যধিক মাদক গ্রহণের কথাও স্বীকার করেছেন এই মার্কিন টেনিস তারকা। এরপরও অবশ্য ম্যাকেনরোর জন্য ভক্তদের ভালোবাসায় এতটুকু টান পড়েনি।
দুবারের গ্র্যান্ড স্লামজয়ী তারকা ইলি নাস্তাসেও টেনিসের ব্যাড বয় হিসেবে বেশ পরিচিত। ম্যাকেনরো এবং কনর্সের আগে ব্যাড বয় হিসেবে অধিক আলোচিত ছিলেন তিনি। এমনকি তাঁর নামের ইংরেজি উচ্চারণের সঙ্গে মিলিয়ে তাঁকে ‘ন্যাস্টি’ (অশ্লীল) বলেও ডাকা হতো! লম্বা চুলে নজরকাড়া এবং খেলায় দাপট দেখানোর সঙ্গে আচরণগত কারণেও অনেকবার আলোচনায় এসেছিলেন তিনি।
সর্বকালের সেরা টেনিস তারকাদের একজন জিমি কনর্স। ৮টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন তিনি। তবে র্যাকেট হাতে পারদর্শিতার সঙ্গে পিছিয়ে ছিলেন না বিতর্ক তৈরিতেও। একবার লেখা হয়েছিল, কনর্স ম্যাচের পর প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতেন। কনর্স মানসিকভাবে বেশ শক্তিশালী ছিলেন। প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিলেন ভীতিজাগানিয়া।
আন্দ্রে আগাসি টেনিস জগতের শ্রেষ্ঠ তারকাদের একজন। শুধু খেলোয়াড় হিসেবেই নন, খেলার বাইরের নানা ঘটনা নিয়েও বেশ আলোচিত ছিলেন তিনি। ১৯৯৭ সালে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময় পার করেছিলেন তিনি। শীর্ষ স্থান থেকে নেমে গিয়েছিলেন ১৪১ নম্বরে। সে বছর ক্রিস্টাল মেথ সেবনের কথাও স্বীকার করেছিলেন। পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন ক্যারিয়ার সুপার স্লাম।
খেলোয়াড় হিসেবে যতটা আলোচিত ছিলেন ততটা সাফল্য পাননি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্ডি রডিক। চারবার গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে ওঠে মাত্র একটি শিরোপা জিততে পেরেছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়া, ম্যাচ অফিশিয়ালদের সঙ্গে ঝগড়াসহ নানা কারণে একাধিকবার নেতিবাচক সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন তিনি।