Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টিকা দিতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

মো. শামীমুল ইসলাম, আগৈলঝাড়া

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টিকা দিতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

আগৈলঝাড়া উপজেলায় বিনা মূল্যে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া হিসেবে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রায় সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত উপজেলার ১৪ হাজার ৬৯৪ জন শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজের টিকা দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের থেকে জানা যায় শুরুতেই শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের কাছ থেকে বরিশাল সদর থেকে টিকা আনার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া বাবদ ৫০ টাকা করে নেন শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম।

পরে অভিভাবকদের সমালোচনায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে টিকা আনার খরচ বাবদ অর্থ আদায় শুরু করেন। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানান, তাঁরা টিকা আনার খরচ বাবদ শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামকে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন।

৫০ টাকা করে আদায়ের হিসেবে ১৪ হাজার ৬৯৪ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৭০০ টাকা আদায়ের অভিযোগ ওঠে শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া থেকে বরিশাল জেলা সদরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ২২০০ টাকা। শিক্ষার্থীদের টিকা আনার জন্য ১৩ দিনে ২২০০ টাকা হিসেবে ২৮ হাজার ৬০০ টাকা এবং আরও দুই দিন টিকা আনার ভাড়া বাবদ চালককে দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার টাকা। হদিস নেই বাকি ৭ লাখ ১ হাজার টাকার।

উপজেলা প্রশাসনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, টিকা রাখার সঠিক তাপমাত্রার জন্য একটি এয়ার কন্ডিশন মেশিন কেনার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তাকে ৫০ টাকার পরিবর্তে ২০ টাকা নিতে বলা হয়েছিল। তবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ মেশিনও কেনার প্রয়োজন পড়েনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বখতিয়ার আল মামুন বলেন, সরকার টিকা সরবরাহ করেছে বিনা মূল্যে। যদি কেউ টাকা তুলে থাকেন সে দায়িত্ব নিজের।

বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বদিউল আলম বাবুল জানান, শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার জন্য ভেন্যু চাইলে অফিসের নিজের কক্ষ ছেড়ে দেন। পরে অপর এসি কক্ষসহ পুরো অফিসটি দীর্ঘ দিন ব্যবহার করা হয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো টাকা উত্তোলন করা হয়নি। যে টাকা খরচ হয়েছে তা শিক্ষকেরা ব্যয় করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেম বলেন, ‘খোঁজখবর নিয়ে জেনে যদি সত্য হয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের যদি এটা করে থাকেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ