Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

আমের মুকুলের সুবাস

মো. সাইফুল ইসলাম আকাশ, বোরহানউদ্দিন (ভোলা)

আমের মুকুলের সুবাস

বাতাসে ভাসছে আমের মুকুলের ম-ম গন্ধ। যে গন্ধ মনকে বিমোহিত করছে চাষি থেকে সাধারণ মানুষের। আমবাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল। মুকুলে ছেয়ে গেছে গাছের ডালপালা।

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় আমবাগানগুলোতে মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে ম-ম করছে প্রকৃতি। মনকে করে তুলছে প্রাণবন্ত। চাষিরাও ভালো ফলন পেতে শুরু করেছেন পরিচর্যা। ছত্রাক ও কীটনাশক ছিটাচ্ছেন নিয়মিত। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা বাগানমালিকদের।

জানা গেছে, গত বছর উপজেলায় আমের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ১৭০ মেট্রিক টন। উৎপাদন হয়েছিল ১ হাজার ২৩৬ টন। চলতি মৌসুমে আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৬০ মেট্রিক টন।

সরেজমিন বোরহানউদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আমগাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল। এ যেন হলুদের সমারোহ। মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় মুকুলে ভরে গেছে গাছ। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি ধরনের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলে মালিকেরা বুনছেন স্বপ্ন।

বোরহানউদ্দিনের পক্ষিয়া ইউনিয়নের আমবাগানের মালিক কবির হাওলাদার বলেন, ‘অন্য বছরে তুলনায় এ বছর আমের মুকুল বেশি দেখা যাচ্ছে। আশা করছি লাভবান হব।’

টগবী, কাচিয়া, বড় মানিকা, কুতবা ইউনিয়নের চাষিরাও এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন।

কাচিয়া ইউনিয়নের বাগানমালিক মো. রায়হান আহমেদ জানান, মুকুল আসার পর থেকেই তিনি গাছের পরিচর্যা শুরু করেছেন। রোগবালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছেন। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূল রয়েছে। এ অবস্থা থাকলে আমের বাম্পার ফলন হবে বলে মনে করছেন বোরহানউদ্দিনের বাগানমালিকেরা।

উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় ৭০ শতাংশ গাছেই এসেছে মুকুল। বাগানমালিক, কৃষি কর্মকর্তারা আশা করছেন, বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ও আবহাওয়া অনুকূল থাকলে উপজেলায় আমের বাম্পার ফলন হবে।

বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে জানান, গত বছরে উপজেলায় ২০৫ একর জমিতে আমের চাষাবাদ হলেও এ বছর তা বেড়েছে। এবার ২১৭ একর জমিতে চাষ করা হয়েছে। উপজেলার কাচিয়া, বড়মানিকা, কুতবা ইউনিয়নে আম্রপালি জাতের আমের চাষ হয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। বাকিটা অন্য জাতের।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘আমের মুকুলের পরিচর্যায় উকুন নাশক এভোমেট্রিন ও ছত্রাকনাশক মেনকোজেভ স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ