চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার দুধ বিক্রেতা মতিউর রহমান মতি হত্যার দুই মাস হয়ে গেছে। কিন্তু তাঁকে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করা হলেও জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের পীরপুর (আসানপুর) গ্রামের বাসিন্দা এবং দুধ সংগ্রহকারী ও বিক্রেতা মতিউর রহমান গত ২০ অক্টোবর সকালে দুধ সংগ্রহ করে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতকারীদের আঘাতে গুরুতর জখম হন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাথী বেগম বাদী হয়ে গোমস্তাপুর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জানতে চাইলে মামলার অগ্রগতি প্রসঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তা গোমস্তাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম রেজা বলেন, ‘আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’