জ্বর নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বেশ কয়েক দিন তাঁর আর জ্বর নেই। তবে শরীরিক নানা জটিলতা এখনো ভোগাচ্ছে তাঁকে। বিদেশে পাঠানো খালেদা জিয়ার বায়োপসি প্রতিবেদনের পর্যালোচনার জন্য অপেক্ষা করছেন চিকিৎসকেরা। যদিও তাঁরা বলছেন, বায়োপসি প্রতিবেদনে ভয়ের কিছু পাওয়া যায়নি এবং তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন।
গত ১২ অক্টোবর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন খালেদা জিয়া। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, বায়োপসি প্রতিবেদনে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। এরপরেও পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তা পর্যালোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতা জানান, খালেদা জিয়ার জ্বর সারলেও সার্বিক অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয়নি। শারীরিক জটিলতাগুলো আগে যেমন ছিল, এখনো তেমনটাই আছে। চিকিৎসকেরা বারবার করে তাঁকে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করাতে বলছেন।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গে সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘আমরা আগে আবেদন করেছিলাম। সরকার তো দিল না। এখন কী হবে, জানি না।’
কথা বলছেন রওশন
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগতে থাকা রওশন এখন অল্প অল্প কথা বলতে পারছেন। তবে শারীরিক দুর্বলতা এখনো কাটেনি তাঁর।
গত ১৪ আগস্ট থেকে হাসপাতালে আছেন রওশন এরশাদ। নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হলেও বেশ কয়েক দিন ধরে তাঁর অক্সিজেন লাগছে না। তাঁকে আইসিইউয়ের সাধারণ একটি বেডে রাখা হয়েছে। প্রতিদিন নিয়ম করে দেখতে যান রওশনপুত্র সাদ এরশাদ। গতকাল তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি আগের চেয়ে এখন ভালো। তবে তিনি একটু ক্লান্ত।’