টাঙ্গাইলে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে বন বিভাগের দুই প্রহরীকে বরখাস্ত এবং চেকপোস্টে দায়িত্বরত পাঁচজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পাঁচবিক্রমাটি এলাকায় গত সোমবার রাতে বনজসম্পদ পাচার রোধে চেকপোস্ট বসায় টাঙ্গাইল বন বিভাগ। ওই চেকপোস্ট এলাকায় ছদ্মবেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) টাঙ্গাইল অফিসের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম অবস্থান নেয়। সন্ধ্যায় তাঁরা ট্রাকে করে কাঠ পাচারের সময় একটি ট্রাক থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা ঘুষ নিতে দেখেন। এ সময় ছদ্মবেশে থাকা দুদকের সদস্যরা দুজন বনপ্রহরী ও এক শ্রমিককে হাতেনাতে আটক করেন।
এ বিষয়ে দুদক টাঙ্গাইলের উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে গোপন সংবাদ ছিল বন বিভাগের বসানো চেকপোস্টে টাকার বিনিময়ে বনজসম্পদ পাচারে সহযোগিতা করা হয়। তাই সোমবার রাতে আমাদের একটি দল ছদ্মবেশে বন বিভাগের চেকপোস্টের কাছে অবস্থান নেয়। এ সময় কাঠভর্তি ট্রাক থেকে টাকা নেওয়ায় তিনজনকে আটক করেন তাঁরা।’
আটক ব্যক্তিরা বন বিভাগের আউটসোর্সিংয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিধায় তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ না নিয়ে বন বিভাগের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান জানান, দুদকের হাতে আটক দুজন বনপ্রহরী ও অন্যজন শ্রমিক। বনপ্রহরী দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঘুষ লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে ওই চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনরত আরও পাঁচজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ওই অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে।