বান্দরবানের থানচি উপজেলা পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশের ওপর ভ্রমণকারীদের আস্থা তৈরি হচ্ছে। পর্যটকদের শৃঙ্খলা, রোডম্যাপ, রেজিস্ট্রেশন, নিরাপত্তা, লাইফ জ্যাকেট পড়া, স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় প্রচারের কারণে স্বল্প সময়ে পুলিশের বিশেষায়িত এই ইউনিটের প্রতি এ আস্থা তৈরি হচ্ছে।
জানা যায়, ট্যুরিস্ট পুলিশের বান্দরবান রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম এর নির্দেশনায় থানচি থানা-পুলিশের সহযোগিতা
গত ৬ অক্টোবর থানচি সাব জোনের টুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল জলিল, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. রাকিবুজ্জামান নেতৃত্বে কর্মকাণ্ড শুরু করে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
গত মঙ্গলবার আসা ঢাকায় ফার্ম গেটের বাসিন্দা পর্যটক সাইফুর রহমান (৪৫) বলেন, ‘আমি অনেকবার এসেছি, কিন্তু এবারে অন্যরকম সেবা পেয়েছি। পর্যটকদের রেজিস্ট্রেশন করার, পথ প্রদর্শকদের সুন্দর আচরণ, নৌকা মাঝিদের ব্যবহার, খাওয়া দাওয়া পরিবেশন, স্বাস্থ্যবিধি মানা, নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ ট্যুরিস্ট পুলিশের অনেক পরিবর্তন দেখা গেছে। ভ্রমণ করতে হলে সবাইকে প্রথমে থানচি বেঁচে নেওয়ার জন্য বলব।’
পথ প্রদর্শক জওয়াই প্রু মারমা বলেন, ‘পথ প্রদর্শক হিসেবে দীর্ঘদিনে অভিজ্ঞতা আছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ আসার পর থেকে তাঁদের সচেতনতামূলক প্রচারে আমাদের অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। সুশৃঙ্খলভাবে চলতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’
গত মঙ্গলবার থানচি বিজিবি চেক পোস্টে পর্যটকদের মাঝে প্রচার করছিলেন থানচি জোনে ট্যুরিস্ট পুলিশের এসআই মো. আব্দুল জলিল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকদের পাহাড়ি রাস্তা হেঁটে যাওয়ার সময় পথপ্রদর্শক ছাড়া গেলে বিভিন্ন বিপদ থাকবে। তাঁদের নিরাপত্তা কথা ভেবে ভ্রমণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে তুলে ধরছি।’
এসআই জলিল বলেন, পর্যটক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, গাইড, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও সব শ্রেণির মানুষের সঙ্গে ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকাণ্ড যেন পর্যটন বান্ধব হয়, সে বিষয়ে সাংস্কৃতিক ও তথ্যচিত্র তুলে ধরতে সবাইকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের বান্দরবান জেলা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, ‘সারা দেশের পর্যটকদের ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকাণ্ড ও সেবা পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে আমরা বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেছি। এতে বন্ধ সব পর্যটন কেন্দ্রে খুলে দেওয়া ও নিরাপত্তা জন্য কাজ করে যেতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আব্দুল হালিম বলেন, ‘দ্রুত পর্যটনের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেব। জেলায় ২২টি মতো পর্যটন সম্ভাবনা স্থান রয়েছে, এগুলোকে পর্যটন বান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার কাজ করে যাব।’