ফুলপুর উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এক পল্লি পুড়াপুটিয়া। এর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে উগলী নামে একটি খাল। এলাকাবাসীর অনেক তদবিরেও এ খালে হয়নি সেতু।
অবশেষে ২০১৮ সালে কয়েকজন তরুণের উদ্যোগে এ খালের ওপর তৈরি হয় একটি সাঁকো। সে সাঁকো দিয়েই ১৫ গ্রামের মানুষ পার হয় এ খাল। চার বছর ধরেই স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি এ সাঁকো রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছেন তাঁরা।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উগলী খালের এক পাশে রয়েছে ফুলপুর উপজেলার সিংহেশ্বর ইউনিয়নের পুড়াপটিয়া, পুটিয়া, মারুয়াকান্দি, ফুটিয়াকান্দা, ডুবারপাড়, মাইঝপাড়া গ্রাম। আরেক পাশে রয়েছে হালুয়াঘাট উপজেলার আমতৈল, বিষমপুর, দড়িপাড়া, ঝাউগড়া, কাউলারা গ্রাম। দুই পাড়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষকে প্রতিদিন উগলী (ট্যাকেরঘাট) খাল পার হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাটবাজারে যেতে হতো।
তাঁরা আরও জানান, সারা বছরই এ খালে পানি থাকে। ফলে দুই পাড়ের মানুষের এ খাল পাড়ি দিতে কষ্ট হতো।
এলাকার মানুষ বাঁশ ও কাঠ দিয়ে এ খালের ওপর একটি সাঁকো নির্মাণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ ও বিভিন্ন দপ্তরে যান। কিন্তু কোনো সাড়া পাননি তাঁরা। অবশেষে বাধ্য হয়ে এলাকার কয়েকজন যুবক তাইয়্যেব ফাউন্ডেশন করে উদ্যোগ নেন সাঁকো নির্মাণের। তাঁদের এ উদ্যোগে এগিয়ে আসেন এলাকার মানুষ। ২০১৮ সালে এলাকাবাসীর সহায়তায় বিভিন্ন বাড়ি থেকে বাঁশ ও টাকা তুলে সাঁকোর কাজ শুরু করেন তাঁরা। সাত দিনে তৈরি হয় সাঁকোটি। এটির নাম রাখা হয় তাইয়্যেব সেতু। এরপর থেকে এলাকাবাসীর সহায়তায় রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে এই সাঁকো।
সাঁকো তৈরির উদ্যোক্তা জিম্মাত আলী, দুলাল মিয়া, জলিল মিয়া, জাহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন বলেন, ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে চাঁদা তুলে তাঁরা সাঁকোটি রক্ষণাবেক্ষণ করছেন। ভবিষ্যতে এটি পাকা করার ইচ্ছে আছে।
সিংহেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব বলেন, ‘ওই খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় একাধিকবার কথা বলেছি।’
উপজেলা প্রকৌশলী মামুন-অর-রশিদ বলেন, ‘এখানে সেতু করার জন্য এলাকা পরিদর্শন করে একটি প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।’