কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে অর্ধশত ইটভাটায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত শুক্রবার টানা ঝড়-বৃষ্টিতে উপজেলার ৪৩টি ইটভাটায় প্রস্তুতকৃত সব নষ্ট হয়ে যায়। এতে প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ইটভাটার মালিকদের।
সরেজমিন বিভিন্ন ইটভাটা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ ইটভাটায় ব্লক তৈরি করে রোদে শুকিয়ে ভাটায় আগুন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু টানা ঝড়-বৃষ্টিতে প্রস্তুতকৃত সব ইট নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক ভাটায় আগুন দিলেও বৃষ্টির কারণে আগুন নিভে গেছে।
ইটভাটার মালিকদের দাবি, একদিকে কয়লার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে শ্রমিকদের মজুরি। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড়ে ইট ও কয়লা ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তাঁরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
সিটিজেন ইটভাটার মালিক কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম শাহীন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে আমার দুটি ইটভাটায় কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হয়েছে। তৈরিকৃত কাঁচা ইটগুলো বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে ভাটার কয়লার দাম ঊর্ধ্বগতি। কয়লাগুলো ভিজে গেছে। শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়া কাঁচা ইটগুলো সরিয়ে নিতে অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে।’
ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, ‘আমার নিজের ইটভাটায় সাত লাখ কাঁচা ইট পোড়ানোর জন্য প্রস্তুত ছিল। সবগুলো ইট নষ্ট হয়ে গেছে। এই ইটগুলো নতুন করে তৈরি করতে আমার আরও ১০ লাখ টাকার বেশি বাড়তি খরচ হবে। বৃষ্টিতে আমার নিজেরও ৭০ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।’
ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি রোটা. বেলাল হোসেন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে ইটভাটার মালিকদের যে ক্ষতি হয়েছে, আগামী এক বছর ব্যবসা করেও তা কাটিয়ে ওঠা যাবে না। উপজেলার ৪৩টি ইটভাটায় প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।’