গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে উপজেলা হিসাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ঢাকা মহাহিসাব নিয়ন্ত্রকের অফিসে একাধিক অভিযোগও জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ওই হিসাব কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘অনিয়মতান্ত্রিক কিছু ভুয়া বিল-ভাউচার দিয়ে আমার কাছ থেকে কাজ করে নিতে না পারায় তাঁরা আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভুয়া।’
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম সাদুল্লাপুরে যোগ দেওয়ার পর থেকে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর অফিসে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে অশোভনীয় আচরণ করে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
এসবের মধ্যে ইএফটিতে মাসিক বিল প্রদানে খামখেয়ালি ও বকেয়া বিল পরিশোধে হয়রানি করেন। শুধু তা-ই নয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড প্রদানে সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্লিপ বরাদ্দ, রুটিন মেরামত বরাদ্দের অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের উৎকোচ আদায় করেন। এমনকি অসুস্থ পেনশনধারীদের ক্ষেত্রেও পিছপা হননি তিনি। এ ছাড়া তাঁর অনিয়মের কারণে শিক্ষক-কর্মচারীরা অতিষ্ঠ।
প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি সাদুল্লাপুর উপজেলা সভাপতি রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার শরিফুল ইসলামের এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।