শরীয়তপুরে বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল মজুত রাখার অপরাধে এক ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জেলা শহরের পালং বাজারের মান্নান স্টোরের মালিক আব্দুল মান্নান মাদবরকে এই জরিমানা করা হয়। শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুজন কাজী অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন। এ ছাড়া অপর ২ ব্যবসায়ীকে ওজনে কম দেওয়া এবং মূল্যতালিকা টাঙিয়ে না রাখায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, সয়াবিনের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাজারের কিছু ব্যবসায়ী খুচরা বাজারে তেল বিক্রি না করে মজুত করে রেখেছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে জেলা শহরের পালং বাজারে অভিযান চালানো হয়। বাজারের পাইকারি বিক্রেতা মান্নান স্টোরে কোনো সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি। সয়াবিন নেই দাবি করে ক্রেতাদের ফিরিয়ে দেন ওই ব্যবসায়ী। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত মান্নান স্টোরের পেছনে থাকা গোডাউনে অভিযান চালান। এ সময় মজুত ৩০ থেকে ৩৫ কার্টন বোতলজাত সয়াবিন তেল খুঁজে পান। মজুত করা সয়াবিন তেলের বোতলে আগের দাম রয়েছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে সয়াবিন তেল মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপরাধে মান্নান মাদবরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া শহরের চৌরঙ্গী মোড়ের এক ব্যবসায়ীকে মূল্যতালিকা না রাখার অপরাধে ১ হাজার এবং তেল ওজনে কম দেওয়ার অপরাধে পালং বাজারের এক ব্যবসায়ীকে আরও ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই বলেন, ‘সয়াবিন তেল থাকা সত্ত্বেও তেলের সংকটের অজুহাতে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে অভিযান চালিয়ে মান্নান স্টোরে ৩০ থেকে ৩৫ কার্টুন তেল মজুত পাওয়া যায়। অথচ তেল না থাকার অজুহাতে ক্রেতাদের ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন ওই ব্যবসায়ী। খোলাবাজারে বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে ওই তেল মজুত করা হয়েছে বলে ধারণা করছি।’