কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ধর্ষণে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা কল্পনা নামের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরী মারা গেছে। গত সোমবার গভীর রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। কল্পনা শহরের আমলাপাড়া এলাকার মোশাররফ মিয়ার মেয়ে। এদিকে মৃত্যুর খবর পেয়ে অভিযুক্ত আশিক ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অভাব আর টানাপোড়েনের সংসারে বেড়ে ওঠা কল্পনার (১৫)। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে আলাদা থাকেন। ফলে আমলাপাড়া এলাকার ছগির মিয়া নামের এক বাড়ির মালিকের অসুস্থ মায়ের সেবাযত্নসহ ফুট-ফরমাশের কাজ করত কল্পনা। বাড়ির মালিকের মায়ের সঙ্গে সে থাকত। আর নিচতলায় পরিবার নিয়ে থাকত কটিয়াদী উপজেলার আশিক (১৮)।
কল্পনার বাবা মোশারফ মিয়া জানান, নিচতলায় থাকার সুবাদে আশিকের সঙ্গে কল্পনার পরিচয় হয়। এরপর প্রেম। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কল্পনাকে সে একাধিকবার ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে কল্পনা। বিয়ের জন্য চাপ দিলে অস্বীকৃতি জানায় আশিক ও তার পরিবার। নিরুপায় হয়ে গত ২৬ আগস্ট থানায় আশিকসহ তিনজনের নামে কল্পনা থানায় মামলা করে।
স্বজনেরা জানান, গত সোমবার সকালে কল্পনা অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে মারা যায় ধর্ষণের শিকার ও সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা কল্পনা। এ খবর পেয়ে পালিয়ে যান আশিক ও তার পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মাহফুজ হাসান সিদ্দিকী বলেন, কিছুদিন আগে কল্পনা থানায় মামলা করেছে। পরে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। সোমবার গভীর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কল্পনা মারা যায়। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।