‘মন চাইছে আত্মহত্যা করি। একটি চেকে আমি ডিসেম্বর বাংলায় লিখেছি বলে কাউন্টার থেকে চেকটি ফেরত দিয়েছে। কোন দেশে আছি?’—ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বাংলা ভাষায় একটি শব্দ লেখার কারণে ব্যাংক থেকে একটি চেক ফেরত দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টটি করেন তিনি। পরে অবশ্য সেই চেক ভাঙিয়ে স্ট্যাটাস আপডেট করে ‘জয় বাংলা’ লিখে উল্লাস প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রীর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া প্রথম স্ট্যাটাসটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। সৃষ্টি হয় নানা আলোচনা ও সমালোচনার। তবে প্রথম স্ট্যাটাসের তিন ঘণ্টা পর সেটি আপডেট করেন মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। পরে তিনি লেখেন, ‘আজ (গতকাল) সকালে একটি চেকে আমি “ডিসেম্বর” বাংলায় লিখেছি বলে কাউন্টার থেকে চেকটি ফেরত দিয়েছিল। এরপর সব ঠিক হয়েছে। এটা আমাদেরই বাংলাদেশ। প্রমাণিত হলো ন্যায়সংগত প্রতিবাদ করলে জয়ী হওয়া যায়। সেই চেকের টাকা ভাঙানো হয়েছে। জয় বাংলা।’
এ ব্যাপারে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া স্ট্যাটাসটি সত্য। আমি একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে ফেসবুকে অসত্য তথ্য দিতে পারি না। আমি চাইছি ভবিষ্যতে যেন বাংলায় লেখার কারণে কোনো চেক ডিজঅনার না হয়।’ মোস্তাফা জব্বার জানান, আমার হিসাব ব্যাংকটির মতিঝিলের প্রিন্সিপাল শাখায়। কিন্তু প্রিন্সিপাল শাখায় এ নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। এবারের চেকেও আমি তারিখটি লিখেছি ‘০২ ডিসেম্বর, ২০২১’। পরিচিত একজনকে একটি বেয়ারার চেক দেওয়া হলে সেটি একটি ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখায় জমা দেওয়ার পর ‘ডিসেম্বর’ বানানটি বাংলায় লেখা থাকায় ওই শাখার কাউন্টার থেকে চেকটি প্রথমে ফেরত দেওয়া হয়। পরে তাঁকে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি নিজে ব্যাংকের ওই শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন। এরপর শাখাটি চেকটি অনার করে। তবে ব্যাংকটির নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।