Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

নাটোরের বাগাতিপাড়া

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

নাটোরের বাগাতিপাড়া

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বড়াল নদের দিয়াড়-রহিমানপুর ঘাটে একটি সেতুর অভাবে প্রতিদিন রশি টেনে নৌকায় পারাপার হয় শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নদীর দুই পারের প্রায় ১০ হাজার মানুষ।

এলাকায় শিক্ষার আলো অনেক আগেই পৌঁছে গেছে। নদের উত্তর পাশে রয়েছে একটি বাজার, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়সহ ঘনবসতিপূর্ণ দুটি গ্রাম। দক্ষিণ পাশে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, একটি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটসহ তিনটি গ্রাম। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের নদ পারাপারে খেয়ানৌকাটিই একমাত্র ভরসা। আবার এলাকার উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণ নিয়ে কৃষকেরা পড়ছেন নানা বিপাকে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একাধিকবার সেতুটি নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে মাপা হলেও কোনো কাজ হয়নি। নদ পারাপারের জন্য আগে বাঁশের সাঁকো ছিল, বর্তমানে রয়েছে একটি খেয়ানৌকা। তবে সেই নৌকার মাঝি সব সময় থাকেন না। কখনো মাঝির স্ত্রী লোক পারাপার করেন, আবার কখনো যাত্রীরা নিজ দায়িত্বেই নৌকায় পার হন। এই আনানেওয়ার জন্য এপার-ওপার টানিয়ে দেওয়া হয়েছে নাইলনের মোটা রশি, যার মধ্যে দেওয়া হয়েছে রডের রিং। যাতে রশি দ্রুত আশা-যাওয়া করতে পারে। যাত্রীরা সেই রশি টেনে নদ পার হন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এই রশি টেনেই খেয়ানৌকায় পারাপার হয়।

বাজিতপুর গ্রামের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রোকসানা খাতুন বলেন, প্রতিদিন নৌকায় নদ পার হয়ে তকিনগর আইডিয়াল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে যাতায়াত করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে স্রোত থাকায় নদের মধ্যে গেলে ভয় লাগে। আবার মাঝি না থাকলে অনেক সময় অপেক্ষা করতে গিয়ে ক্লাসও মিস হয়ে যায়। এই ঘাটে একটি সেতু হলে তাদের অনেক সুবিধা হবে।

মাঝি আব্দুল হান্নান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কয়েক গ্রামের মানুষের সামান্য সহযোগিতায় যাত্রীদের পারাপার করে আসছেন, কিন্তু এখন এই আয় দিয়ে তাঁর আর সংসার চলছে না। জীবিকার তাগিদে তাই মাঝেমধ্যে অন্য কাজ করতে গিয়ে নিয়মিত ঘাটে থাকতে পারেন না।

তকিনগর আইডিয়াল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মো. হাবিবুল্লা বলেন, নৌকায় নদ পারাপার হতে গিয়ে প্রতিদিনই নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। এখন যে খেয়ানৌকায় পারাপার করা হচ্ছে, সেটিও কয়েক বছরের পুরোনো হওয়ায় ফাঁকফোকর দিয়ে নৌকার ভেতরে পানি ঢুকে পড়ে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে সবাইকে। এখানে একটি সেতু হলে সব মানুষের উপকার হতো।

নদের দক্ষিণ পারের বাসিন্দা অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন বলেন, মানুষের স্থায়ী দুর্ভোগ লাঘবে এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে স্থানীয় সাংসদসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন-নিবেদন করেছেন। একটি ব্রিজের অভাবে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ পাঁচ গ্রামের মানুষকে। তবে দীর্ঘদিন ধরে শুধু শোনাই যাচ্ছে সেতুটির অনুমোদন হয়েছে। কয়েকবার মাপা হয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। তাই তিনি সেখানে দ্রুত একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানান।

বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বিবেচনা করে ১০০ মিটার সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ওই সেতুর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি পাস হলেই সেখানে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ