Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

পাচারের স্বর্ণ বহনকারী উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাচারের স্বর্ণ বহনকারী উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

চৌগাছা থেকে অপহরণের পাঁচ দিন পর স্বর্ণ পাচারের কাজে ব্যবহৃত শাহীন নামের এক যুবককে উদ্ধার করেছে যশোর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। উদ্ধার হওয়া শাহীন উপজেলার ধুলিয়ানী ইউনিয়নের শাহাজাদপুর গ্রামের বাসিন্দা।

একই সঙ্গে অপহরণ ও স্বর্ণ পাচারে জড়িত ঘটনায় চৌগাছার কাবিলপুর গ্রামের বাসিন্দা আসম মোজাফফর হাসান ওরফে আবু সাঈদ (৪৯) এবং শার্শা উপজেলার শ্যামলগাছি গ্রামের রবিউল হোসেন ওরফে লিটনকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।

গত বুধবার রাতে বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও যশোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপন কুমার সরকার।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৩ জুন সকালে উপজেলার বড় কাবিলপুর বাজার থেকে শাহাজাদপুর গ্রামের শাহীন ও তাঁর শ্যালক বাঘারপাড়া উপজেলার বেতালপাড়া গ্রামের ইয়ামিনকে (১৯) আবু সাঈদ, মন্টু, লিটন নামের চোরাকারবারিরা অপহরণ করে অজ্ঞাতনামা স্থানে আটকে রাখেন। পর দিন ৪ জুন দুপুরে ইয়ামিন কৌশলে অপহরণকারী চক্রের হাত থেকে পালিয়ে এলেও শাহিনকে তাঁরা আটকে রাখেন।

পুলিশ জানিয়েছে, আবু সাঈদ শাহাজাদপুর সীমান্ত দিয়ে কীটনাশকের মোড়কের আড়ালে শাহীন ও ইয়ামিনের মাধ্যমে ১০০০ টাকা মজুরির বিনিময়ে ভারতে স্বর্ণ পাচার করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৩ জুন সকালে আবু সাঈদ দুটি প্যাকেটে তিন কেজি স্বর্ণ শাহীনকে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের জন্য দেয়। শাহিন ও ইয়ামিন ওই স্বর্ণ নিয়ে সীমান্তের দিকে যাচ্ছিলেন। পরে একটি মোটরসাইকেলে চড়ে দুই ব্যক্তি এসে দেড় কেজি ওজনের স্বর্ণের একটি প্যাকেট নিয়ে যায়।

তখনই বিষয়টি শাহীন আবু-সাঈদকে জানালে আবু-সাঈদ শার্শার চোরাকারবারি মন্টু ও লিটনকে জানালে মন্টু ও লিটন ৪/৫ জন লোক নিয়ে কাবিলপুর বাজারে আসে এবং শাহীন ও ইয়ামিনকে ডেকে তাঁদের অপহরণ করে বেনাপোলের অজ্ঞাত একটি বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করেন। সেখানে থেকে ইয়ামিন কৌশলে পরদিন পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। আর শাহিনকে পাঁচ দিন ধরে সেখানে আটকে নির্যাতন করা হয়।

শাহিনের বাবা মো. আলম ৭ জুন চৌগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার তদন্তের জন্য যশোর ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দেন। নির্দেশ মোতাবেক ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকারের নেতৃত্বে উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় অপরাধীদের অবস্থান শনাক্ত করেন। এরপর ৭ জুন বিকেলে থেকে ৮ জুন সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী ও চোরাকারবারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের স্বীকারোক্তিতে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন পৌর গেটের পশ্চিম পার্শ্বে হক ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে অপহৃত শাহীনকে উদ্ধার করা হয়।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ