আগৈলঝাড়ায় গৈলা বাজার সড়কের বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে টানা বৃষ্টিতে পানি জমে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাজারে আসা পথচারী ও যানবাহন চালকদের। ঘটছে দুর্ঘটনা।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গৈলা বাজারে প্রবেশের একটি অন্যতম সংযোগ সড়ক এটি। বাজারে প্রবেশের শুরু থেকে প্রতিটি গলির সড়কগুলোতে বড় বড় গর্ত হয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
গৈলা বাজারের ব্যবসায়ী দিপক কর্মকার, হালিম বেপারী, গোলাম মোস্তফা জানান, সড়কটি নির্মাণকাজে ত্রুটি ছিল। এতে এখন সড়কে তৈরি হয়েছে অসংখ্য গর্ত। সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গৈলা দাখিল মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী এ ভাঙা সড়ক দিয়ে চলাচল করে। ব্যবসায়ীরা সড়কে খানাখন্দের কারণে বড় ট্রাকে মালামাল আনা-নেওয়া করতে পারে না। দ্রুত সড়কটি সংস্কার জরুরি।
গৈলা বাজারের ভুক্তভোগী কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, রাস্তার বেশির ভাগ স্থানেই বিটুমিন ও ইট-পাথর উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি
ভ্যান চালক শাহিন ফকির বলেন, ভাঙাচোরা সড়কে ভ্যান চালাতে গিয়ে প্রায়ই নাটবল্টু খুলে পড়ে যায়। সারা দিন ভ্যান চালিয়ে যা রোজগার করি, তার একটা অংশ মেরামতেই শেষ হয়ে যায়।
গৈলা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফারুক সরদার বলেন, বাজারের একমাত্র সড়কের বেহাল, তাই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এই সড়কটি সংস্কার করার জন্য স্থানীয় সাংসদ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সহযোগিতায় ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও সে টাকা দিয়ে বাজারের ড্রেন ও সড়কের পাশ সংস্কার করে ঠিকাদার।
গৈলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টিটু বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে পানি জমে। ইউনিয়ন পরিষদের সামান্য অর্থায়নে এত বড় সড়কের কিছুই করা সম্ভব না। সড়কটি জনস্বার্থে দ্রুত সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্বে) তৌহিদুর রহমান বলেন, এরই মধ্যে সড়কটি সংস্কারের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বর্ষার কারণে কাজ বন্ধ থাকলেও খুব দ্রুতই আবার শুরু হবে।