Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

তদন্ত কমিটি করেই দায় শেষ বাকৃবি প্রশাসনের

হাবিবুর রনি, বাকৃবি

তদন্ত কমিটি করেই দায় শেষ বাকৃবি প্রশাসনের

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এ বছর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের হাতে ছাত্রী লাঞ্ছনা এবং সাংবাদিকদের মারধরসহ কয়েকটি ঘটনায় চারটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েছে মাত্র একটির। বাকিগুলোর তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। আর প্রায় সাড়ে চার মাস আগে যে প্রতিবেদন জমা পড়েছে, তা প্রকাশ করাও হয়নি, নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে গত ৩০ মে সংঘর্ষের ঘটনায় ১ জুন গঠিত তদন্ত কমিটিকে পরবর্তী ১২ কর্মদিবসের মধ্যে রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিন মাসেও ওই কমিটি প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।

ওই কমিটির সদস্যসচিব কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্তের কাজ শেষ পর্যায়ে। দ্রুতই প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।’ এদিকে গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ছাত্রলীগের সদস্যদের হাতে ছাত্রী লাঞ্ছনা এবং ২৮ মার্চ গাড়ি ভাঙচুর ও সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনা ঘটে। ঘটনা দুটি তদন্তে ২৯ মার্চ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও দুই মাসের অধিক সময় পর প্রতিবেদন জমা দেয় সেই কমিটি। কিন্তু তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

এ ছাড়া গত ২৭ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরকে অপদস্থ এবং সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে পরবর্তী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কার্যদিবস শেষ হওয়ার কথা ৮ সেপ্টেম্বর। ওই ঘটনার এক দিন আগে ২৫ আগস্ট রাতে নূরুল আমিন নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। এ ঘটনায় ২৯ আগস্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা জমা হয়নি।

ওই তদন্ত কমিটির সভাপতি ও কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল হক জানান, কোনো ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ এবং ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলতে হয়। তাই প্রতিবেদন জমা দিতে দেরি হচ্ছে। রেজিস্ট্রার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার কাছে এ পর্যন্ত একটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা পড়েছে, যা উপাচার্যের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। শান্তিশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’

এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান এক মাসের ছুটিতে গত ২৩ আগস্ট ভারতে গেছেন। এর আগেও তিনি প্রায় তিন মাসের ছুটিতে ছিলেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন।

অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করছি। কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন আমার দায়িত্বের বাইরে। উপাচার্য ফিরলে সার্বিক বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।’ 

এ বিষয়ে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ